মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি : মহামারি করোনা পরিস্থিতিতে সরকারের কঠোর বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে রাজধানীতে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ।
গতকাল শনিবার রাত থেকে শুরু করে রোববার (০৮ আগস্ট) ভোর সকাল পর্যন্ত শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটের ফেরিতে উভয়মুখী যাত্রীদের চাপ দেখা গেছে । তবে বাড়ি ফেরা মানুষের চাইতে কর্মস্থলে ফেরা মানুষের ঢল নেমেছে শিমুলিয়া ঘাটে।
এদিকে শিমুলিয়াঘাটে পরাপারের অপেক্ষায় এখনো ব্যক্তিগত ও পণ্যবাহী ৮ শতাধিক ট্রাকসহ গাড়ির দীর্ঘ সারি রয়েছে শিমুলিয়া ঘাট এলাকায়।
ঘটনার সত্যতা রিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরিন নৌপরবহন কর্পোরেশনের (বিআইডাব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের সহ মহাব্যবস্থাপক মো. শফিকুল ইসলাম জানান, শিমুলিয়া ঘাটে ব্যক্তিগত ও পণ্যবাহী মিলিয়ে ৮ শতাধিক ট্রাক পদ্মা পারের অপেক্ষায় আছে। অন্যদিকে, লঞ্চে চলাচল বন্ধ থাকায় ফেরিতে যাত্রীচাপ বেড়েছে।
বাংলাবাজার থেকে শিমুলিয়াঘাটে আসা প্রতিটি ফেরিতে ঢাকা মুখী যাত্রীদের ঢল। ফেরিতে যাত্রী চাপ ও গাদাগাদিতে আজও উপেক্ষিত থাকছে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব।
মাদারিপুর থেকে আসা বেসরকারি ব্যাংকে কর্মকর্তা শিউলি বেগম জানান, রোববার ঢাকার যাত্রাবাড়ি যাবো কর্মস্থলে। তবে লকডাউন এর কারণে আমাকে ঢাকায় প্রবেশ করতে অনেক দুর্ভোগ সহ্য করতে হচ্ছে। গণপরিবহন বন্ধ তাই পায়ে হেটে হলেও গন্তব্যে যেতে হচ্ছে। ফল ব্যবসায়ী করিম মিয়া জানান, ফল কিনতে ঢাকায় কাওরান বাজার যাচ্ছি।
মাওয়া নৌ ফারির ইনচার্জ মো. সিরাজুল কবির জানান, পদ্মায় তীব্র স্রোতে নৌরুটে ফেরি চলাচলে বেশি সময় আর ঘাটে থাকা যানবাহন পারাপারে বেগ পেতে হচ্ছে।