একাত্তরলাইভ ডেস্ক : রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে আটজনের করোনা পজিটিভ ছিল। বাকিরা মারা যান উপসর্গ নিয়ে।
মঙ্গলবার (১৫ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রামেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী।
শামীম ইয়াজদানী বলেন, “সোমবার সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টার মধ্যে বিভিন্ন সময় তারা মারা যান। এদের মধ্যে আটজন পুরুষ ও চারজন মহিলা। মৃতদের মধ্যে রাজশাহীর তিনজন চাঁপাইনবাবগঞ্জের সাতজন এবং নাটোর ও নওগাঁর একজন করে।”
এ নিয়ে চলতি মাসের গত ১৫ দিনে (১ জুন সকাল ৬টা থেকে ১৫ জুন সকাল ৬টা পর্যন্ত) এ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেছেন ১৪৮ জন। এর মধ্যে ৮৮ জনই মারা গেছেন করোনা শনাক্ত হওয়ার পর। বাকিরা উপসর্গ নিয়ে মারা যান।
এর মধ্যে ১ জুন, সাতজন, ২ জুন সাতজন, ৩ জুন নয়জন, ৪ জুন ১৬ জন, ৫ জুন ৮ জন, ৬ জুন ছয়জন, ৭ জুন ১১ জন, ৮ জুন আটজন, ৯ জুন আটজন, ১০ জুন ১২ জন, ১১ জুন ১৫ জন, ১২ জুন ৪ জন, ১৩ জুন ১৩ জন, ১৪ জুন ১২ জন এবং সর্বশেষ ১৫ জুন ১২ জন মারা যান।
শামীম ইয়াজদানী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৮ জন। এর মধ্যে রাজশাহীর ৩৯, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আট, নাটোরের চারজন, নওগাঁ পাঁচজন ও কুষ্টিয়ার দুইজন। একই সময় সুস্থ হয়েছে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৪৩ জন।
মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত এ হাসপাতালের ২৭৩ বেডের বিপরীতে ভর্তি রয়েছেন ৩২৫ জন। অতিরিক্ত বেডের ব্যবস্থা করে ৫২ জন রোগীকেও চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এদের রাজশাহীর ১৮৯ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৮২, নাটোরের ১৭, নওগাঁর ২৬, পাবনার ৪, কুষ্টিয়ার ৬ ও চুয়াডাঙ্গার ১ জন।
এদিকে, রাজশাহীতে আরও কমেছে সংক্রমণ। সোমবার দুইটি ল্যাবে রাজশাহীর ৩৬৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে ১১১ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে।
রাতে প্রকাশিত দুইটি পিসিআর ল্যাবের নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে দেখা গেছে, আগের দিনের চেয়ে ১১ দশমিক ০১ শতাংশ কমে করোনা শনাক্তের হার হয়েছে ৩০ দশমিক ১৭ শতাংশ। যা আগের দিন রোববার ছিল ৪১ দশমিক ১৮ শতাংশ এবং এর আগের দিন শনিবার ছিল ৫৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ। ফলে গত দুই দিনে রাজশাহী শনাক্তের হার কমেছে ২৩ দশমিক ৫০ শতাংশ।
হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, শনিবার রাজশাহীর দুইটি ল্যাবে চার জেলার মোট ৫৫৮ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে করোনা পজিটিভ এসেছে ১৭৭ জনের।
তিনি জানান, রাজশাহী ছাড়াও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৯৯ নমুনা পরীক্ষা করে ২২ জনের পজিটিভ এসেছে। এখানে শনাক্তের হার ২২ দশমিক ২৩ শতাংশ। আর নওগাঁয় ৮৮ নমুনা পরীক্ষা করে ৪৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। সেখানে শনাক্তের হার ৪৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ। এছাড়া নাটোরের ৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১ জনের পজিটিভ আসে। এখানে শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ।