অনলাইন ডেস্ক : এখন থেকে সব সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা নির্বাচন ইভিএমের মাধ্যমে করা হবে। যেসব উপজেলা পরিষদ বা ইউনিয়ন পরিষদে বিদ্যুতের ব্যবস্থা আছে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো সেসব উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদেও ইভিএমে ভোটগ্রহণ হবে। বললেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
বুধবার বিকেলে আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের এ পরিকল্পনার কথা জানান তিনি।
ইসি সচিব বলেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পুরোটা না হলেও ৫০ শতাংশ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে কমিশন।
তিনি বলেন, আমরা ৩ হাজার ৮২৫ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছি। এই প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা দেড় লাখ ইভিএম সংগ্রহ করেছি। এগুলোতো সংগ্রহ করে রাখার জন্য না। জাতীয় নির্বাচনের আগেই এই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছিল এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আগ্রহেই এই প্রকল্পটা গ্রহণ করা হয়। সরকার বলেছে যে, সব জায়গায় প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনেও এটা ব্যবহার করা হোক। এতোগুলো ইভিএম কেনো আমরা ব্যবহার করবো না। প্রকল্প যখন আমরা নিয়েছি, ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিএমটিএফ এই মেশিনগুলো আমাদের সাপ্লাই করেছে এবং এতগুলো লোককে আমরা প্রশিক্ষিত করেছি, আমাদের প্রত্যেকটি ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দিয়েছি।
ইসি সচিব আরও বলেন, সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিষয়টি এখনো চুড়ান্ত না, এটা আমাদের পরিকল্পনায় আছে। এর জন্য অবশ্যই রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার দরকার আছে।
তিনি বলেন, ইভিএম ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলেন বাংলাদেশে প্রচলিত যে অনিয়মগুলো হয়, সেটা আর হবে না, ভোটারদের আস্থাটা বাড়বে, ব্যালট পেপারের কাগজ সাশ্রয় হবে। ভারতে যে লোকসভা নির্বাচন হতে যাচ্ছে সেখানে তারা সব নির্বাচন ইভিএমের মাধ্যমে করবে।
ট্যাবের বিষয়ে সচিব বলেন, উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপে চারটি উপজেলায় ট্যাব ব্যবহার করা হয়েছে। সেখানে দুইটি উপজেলার ফলাফল আমরা দ্রুত পেয়েছি। দুইটি উপজেলায় সমস্যা হয়েছে। সে কারণে চতুর্থ ধাপের ছয়টি উপজেলায় এটি ব্যবহার করা হয়নি। ট্যাবের সফটওয়্যার আরো অপটিমাইজেশন করার প্রয়োজন আছে। এগুলো ঠিক করার জন্য যে কোম্পানির কাছ থেকে এটি কিনেছি, তাদের অনুরোধ করেছি। তারা এটি ঠিক করে দেবে।