অনলাইন ডেস্ক : ফেনীতে পরীক্ষাকেন্দ্রে মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির শরীরে আগুন দিয়ে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলাটি করেন ভিকটিমের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান।
মামলায় মুখোশধারী চারজন এবং তাদের সহযোগীদের আসামি করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, অজ্ঞাত পরিচয় চার আসামি ও তাদের সঙ্গীরা হত্যার উদ্দেশে ওই ছাত্রীর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়েছে।
সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে মাদ্রাসাছাত্রীকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ। তারা হলেন- মোস্তফা কামাল, নুরুল আমিন, আশরাফ, সাইফুল, আরিফ, জসীম ও আলাউদ্দিন। তারা এখন পুলিশ হেফাজতে আছে। তাদের এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হতে পারে বলে জানা গেছে।
দগ্ধ নুসরাত ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন। তার অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় আজ সকালে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, শনিবার সকাল ৯টার দিকে আলিম পর্যায়ের আরবি প্রথম পত্রের পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে যায় ওই ছাত্রী। এর পর কৌশলে তাকে পাশের ভবনের ছাদে ডেকে নেওয়া হয়। সেখানে ৪/৫ জন বোরকা পরিহিত ব্যক্তি ওই ছাত্রীর শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে তার শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে যায়।
পরে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে তার স্বজনরা প্রথমে সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে ফেনী সদর হাসপাতালে পাঠান। সেখান প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়।পরে ওই ছাত্রীকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়।