নাটক ছিল মুক্তিযুদ্ধের প্রেরনা,কক্সবাজারে নাট্য চর্চায় সহায়তা করবে প্রশাসন

কক্সবাজার রিপোর্ট : কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন বলেছেন,নাটক হচ্ছে সব চেয়ে পুরাতন এবং আধুনীক শিল্প। যা সকল শিল্পের সমন্নয়ে গড়ে উঠা একটি উন্নত মাধ্যম। এবং নাটকের মাধ্যমে সমাজ এবং রাষ্ট্রের অনেক অসংগতি সহজেই সাধারণ মানুষের মাঝে তুলে ধরা যায়। পর্যটন নগরী হিসাবে কক্সবাজারে নাট্য চর্চা আরো বেশি হওয়া দরকার। তবে আমি যতটুকু জেনেছি কক্সবাজার নাট্য চর্চার একটি উর্ভর ভূমি। অন্যজেলার চেয়ে এখানে নাট্য উৎসব বেশি পরিমানে হয়েছে। তাই সামনে নাট্য চর্চা আরো বেশি করে করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহবান জানান তিনি। একই সাথে নাটক করার খেত্রে জেলা প্রশাসনরে সর্বাত্তক সহায়তা থাকবে বলেও জানান তিনি। এছাড়া বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে নাটকের মাধ্যমে দেশের মানুষকে জাগিয়েছে এদেশের মানুষরা। তাই নাটক আমাদের চেতনা এবং প্রেরণার উৎসব। এছাড়া নাটকের মাধ্যমে পর্যটন শিল্পের বিকাশ হবে বলেও মন্তব্যকরেন তিনি। জেলা প্রশাসক ২৭ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে কক্সবাজারের অন্যতম নাট্য সংগঠন বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটারের সদস্য কক্সবাজারের থিয়েটারের পরিবেশনায় টু ইডিয়টস নাটকের ৯৯ তম প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্টানে এসব কথা বলেন। বিশ^ নাট্য দিবস উপলক্ষে কক্সবাজার থিয়েটারের এবারের প্রদর্শনীতে সার্বিক সহযোগিতা করেন ভারতীয় হাই কমিশন। নাটক মঞ্চায়নের আগে সংক্ষিপ্ত এক অনুষ্টানে বিশেষ অথিতি ছিলেন ভারতীয় হাই কমিশন চট্টগ্রাম এর সেকেন্ড সেক্রেটারী শুভাশীষ সিনহা। এতে বিশেষ অথিতি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আশরাফ হোসেন,অনুষ্টানে সভাপতিত্ব করেন কক্সবাজার থিয়েটারের সভাপতি ইকবাল মোঃ শামসুল হুদা টাইডেল,স্বাগত বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক এড,তাপস রক্ষিত, বিশ^ নাট্য দিবসের বানী পাঠ করেন বিশিষ্ট নাট্য নির্দেশক স্বপন ভট্টাচার্য্য। টু ইডিয়টস নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন,তাপস রক্ষিত,সশান্ত পাল বাচ্চু,আবুল মনজুর,গিয়াস উদ্দিন মুকুল,বিভাষ সেন গুপ্ত,অমির দাশ,ফাল্গুনী দাশ হৈমু,দোলন পাল,সাগর পাল,আশুতোষ রুদ্র,মোঃ ইব্রাহিম খলিল,ফাতেমা আক্তার শাহী,আরমান মালিক,মীম আক্তার তুহি।