অনলাইন ডেস্ক : রাঙ্গামাটির দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে ৮ জন নিহতের ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। ঘটনার পর এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। চরম আতঙ্কে রয়েছেন পাহাড়ি ও বাঙালিরা। কোনো সন্ত্রাসীকে ছাড় দেয়া হবে না জানিয়ে চিরুনি অভিযান শুরু করেছে যৌথবাহিনী। এদিকে, হামলার ঘটনা খতিয়ে দেখতে বিভাগীয় প্রশাসন ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
ছেলেকে ফিরিয়ে দেয়ার আকুতি জানিয়ে বুকফাটা আর্তনাদ করেন ভিডিপি সদস্য আল-আমিনের মা। শোকের মাতম চলছে সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার আমির হোসেনের পরিবারেও।
দুর্গম বাঘাইছড়ি উপজেলা জুড়ে এখন থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অজানা হামলার আশঙ্কায় চরম আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয় পাহাড়ি ও বাঙালিরা।
বাঘাইছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে তারা শঙ্কাযুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। হতাহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজিম সরোয়ার।
তিনি বলেন, ‘এলাকার পরিস্থিতি আপাতত থমথমে রয়েছে। দেখে শান্ত মনে হলেও কিন্তু ভেতরে শান্ত নয় বলে মনে হয়েছে। ‘
সন্ত্রাসী হামলায় প্রিজাইডিং কর্মকর্তাসহ ৮ জন নিহতের ঘটনার পর দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় চিরুনি অভিযান শুরু করেছে সেনাবাহিনী। সন্ত্রাসীদের হামলা বিচ্ছিন্ন ঘটনা উল্লেখ করে সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হামিদুল হক জানান, সন্ত্রাসী নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, সম্ভাব্য যেসব জায়গায় তারা অবস্থান করতে পারে, সেইসব জায়গা আমরা খুঁজে দেখেছি। আমরা চিরুনি অভিযান করছি। কাউকে সামান্যতম ছাড় দেয়া হবে না।
সোমবার সন্ধ্যায় ভোট কেন্দ্র থেকে নির্বাচনী সরঞ্জাম নিয়ে ফেরার পথে দুর্গম নয়মাইল পাহাড়ি এলাকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে প্রিজাইডিং কর্মকর্তাসহ ৭ জন নিহত এবং ১১ জন গুলিবিদ্ধসহ ২৬ জন আহত হন।
মঙ্গলবার আহতদের একজন নিহত হলে নিহতের সংখ্যা দাঁড়ায় ৮।