কক্সবাজার রিপোর্ট: কক্সবাজার জেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে ওয়ালটন বীচ ফুটবলের আয়োজক কমিটির ব্যাপক অনিয়ম দূর্নীতি এবং সেচ্ছাচারিতার কারনে বীচ ফুটবলের দ্বিতীয় দিনের খেলা পন্ড হয়ে গেছে। এতে ডিএসএর এক প্রভাবশালী সদস্যকে বিশেষ সুবিধা দিতে আয়োজক কমিটি নেক্কার জনক ভুমিকায় অবতির্ন হয়েছে বলে জানান খেলোয়াড়রা।
কক্সবাজারের অন্যতম ফুটবল সংগঠন ন্যাশনাল কক্সের সাধারণ সম্পাদক শিমুল পাল অভিযোগ করে বলেন,১৩ নভেম্বর শুরু হওয়া বীচ ফুটবলের প্রথম দিনে জিতে ১৪ নভেম্বর সেমিফানালে মুখোমুখি হই ইয়ংম্যান্সের সাথে। মাঠে নেমে দেখি ইয়ংম্যান্স ক্লাবের পক্ষে ১৩ নভেম্বর যে সব খেলোয়াড় খেলেছে সেই তালিকার বাইরে মুকুট,সাকের উল্লাহ এবং আরাফাত সানি খেলতে নামছে আমরা তাদের নাম খেলোয়াড় তালিকায় আছে কিনা জানতে চাইলে দীর্ঘক্ষন পরে একটি নিউজপ্রিন্ট কাগজে করে তাদের নাম লেখে নিয়ে আসে। অথচ সব দলের খেলোয়াড় তালিকা সহ নাম আগেই জমা নিয়েছিল কর্মকর্তারা। মুলত ইয়ংম্যান্স ক্লাবটি জেলা ক্রীড়া সংস্থার প্রভাবশালী সদস্য খালেদ আজম বিপ্লবের তাই আয়োজক কমিটি তাকে বিশেষ সুবিধা দিতে সব নিয়মনীতি পানিতে ভাসিয়ে দিয়ে আমাদেরকে পরিকল্পিত ভাবে হারিয়ে দিয়েছে। পরে ম্যাচে ও আরো ব্যাপক বিশৃংখলা হয় বীচ ফুটবলে। রামু আবাহনী এবং মহেশখালীর মধ্যকার খেলাও অমিমাংসিত থাকে। শেষ করে না খেলেই মাঠ থেকে উঠে যায় মঙ্গল বড়–য়ার রামু আবাহনী। মোট কথা চরম বিশৃংখলায় সব খেলা পন্ড হয়ে পরে বীচ ফুটবলের। তবুও আয়োজন কমিটি কোন মতে খেলা শেষ করে তাদের উদ্দেশ্য হাসিল করতে ব্যাস্ত। এদিকে বেশ কয়েকজন ডিএসএ সদস্য অভিযোগ করে বলেন,মূলত ওয়ালটন থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে এখানে সর্বোচ্চ ১ লাখ ৫০ টাকা খরচ করে বাকি টাকা আত্বসাৎ করার জন্য এসব করে গুটি কয়েক কর্মকর্তা।
এ ব্যপারে জেলা ক্রীড়া সংস্থার ফুটবল সম্পাদক ও বীচ ফুটবলের সম্পাদক রাশেদ হোসাইন নান্নু বলেন, প্রতিটি দল ১০ জনের খেলোয়াড়ের নাম দিতে পারে ইয়ংম্যান্স প্রতম দিনে ৭ জনের নাম দিয়েছিল আর গতকাল ৩ জনের নাম দিয়েছে। অন্যদিকে ওয়ালটনের শীর্ষ কর্মকর্তা ইকবাল বিন আনোয়ার ডন বলেন, এধরনের অভিযোগ মোটেও কাম্য নয়। ভবিষ্যতে এ ধরনের কথা শুনলে আমরা মুখ ফিরিয়ে নেব আর সহেযাগিতা করা হবে না। জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক অনুপ বড়–য়া বলেন,খেলাধুলাই এ ধরনের অনিয়ম মোটেও কাম্য নয়, এ জন্য সারা দেশে ফুটবলের প্রতি সাধারণ মানুষের অনিহা চলে আসছে।