অনলাইন ডেস্ক: বহুল আলোচিত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে রাজধানী ঢাকায় সমাবেশ করার করার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অথবা নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। আজ শুক্রবার সকালে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কথা জানিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। তিনি বলেন, সমাবেশের জন্য অনুমতি চেয়ে ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির খান, আমিরুল ইসলাম আলিম, নিপুন রায় চৌধুরী।
রিজভী বলেন, আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি বিএনপির উদ্যোগে আমরা ঢাকায় সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এই সমাবেশ হবে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অথবা নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে যে কোনো একটি জায়গায় জনসভা করতে চায় বিএনপি। এ জন্য অনুমতি চেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে।
নয়া পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে রিজভী অভিযোগ করেন, তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনেও বাধা দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, হবিগঞ্জে পৌর মাঠে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি কামনায় শুক্রবার সকালে কোরানখানির অনুষ্ঠানে পুলিশ হামলা চালিয়ে মঞ্চ ও মাইক ভেঙে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, বগুড়ায় মহাস্থানগড় মসজিদে দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে মসজিদের ইমাম সাহেব মোনাজাত করলে জেলার ডিসির নির্দেশে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই সরকার ও তার প্রশাসন আজ মানুষের ব্যক্তিগত ধর্মীয় কাজেও বাধা দিচ্ছে নির্দয়ভাবে, এরা আল্লাহর কাছে মোনাজাত পর্যন্ত করতে দিচ্ছে না। আমরা এই জুলুমের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ৩০ জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সারাদেশে বিএনপির ৪ হাজার ৬৫০ জন নেতা-কর্মীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
প্রসঙ্গত গত ৮ ফেব্রুয়ারি আদালত খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের সাজা দেওয়ার পর থেকে তিনি কারাগারে বন্দি আছেন। এর পর খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ, মানববন্ধন, অনশন, গণস্বাক্ষর, স্মারকলিপি প্রদানের কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি। দলীয় চেয়ারপারসনের মুক্তির দাবিতে প্রথমে দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি দেয় বিএনপি। এরপর মানববন্ধন, অবস্থান ও অনশন কর্মসূচি পালনের পর বৃহস্পতিবার আরও ৩ দিনের কর্মসূচি দেওয়া হয়। এগুলো হল- শনিবার সারাদেশে গণস্বাক্ষর অভিযান, ১৮ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে স্মারকলিপি পেশ এবং ২০ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর বাদে সকল জেলা ও মহানগরে বিক্ষোভ সমাবেশ। ওই কর্মসূচি শেষ হওয়ার আগেই জনসভার কর্মসূচি দিল বিএনপি।