নরসিংদী প্রতিনিধি ঃ মামলা প্রত্যাহার না করায় মামলার বাদীনীকে মনি বেগম (২৪) নামে এক গৃহবধুকে এসিড মেরে ঝলসে দিয়েছে মোস্তফা নামে এক নিষ্ঠুর প্রতিবেশী। গত মঙ্গলবার রাতে শিবপুর উপজেলার পুটিয়া কামারগাঁও গ্রামে এই অমানবিক ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে। মনি বেগমের বড় বোন রাহেলা বেগম নরসিংদী প্রেস ক্লাবে গিয়ে সাংবাদিকদেরকে জানিয়েছে তার ছোট বোন মনি বেগম শিবপুর উপজেলার পুটিয়া কামারগাঁও গ্রামের বিদেশ প্রবাসী নয়ন মিয়ার স্ত্রী। তার ৩টি ছেলে রয়েছে। প্রতিবেশী মোস্তফার সাথে তার আর্থিক লেনদেন হতো।
সেই সূত্রে মাস দুয়েক পূর্বে মোস্তফা ও তার স্ত্রী, মনি বেগমের বাড়ী গিয়ে চুরি করতে যায়। কিন্তু ঘটনাটি হাতে নাতে ধরা পরার পর মোস্তফা ও তার স্ত্রী মিলে মনি বেগমের ২ ছেলেকে হাতপা বেধে খাটের নিচে ফেলে রেখে মনি বেগমকে অন্য রুমে নিয়ে হাতপা বেধে মারধোর করে ঘরের সকল জিনিসপত্র চুরি করে করতে থাকে। এসময় মনি বেগমের ছোট ছেলে মোস্তফা ও তার স্ত্রীর অগোচরে ঘর থেকে বেরিয়ে পাশ্বর্তী লোকজনকে ঘটনা জানায়।
পাশ্ববর্তী লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে মোস্তফা ও তার স্ত্রীকে চুরিরত অবস্থায় হাতে নাতে ধরে ফেলে। পরে এ ঘটনা শিবপুর থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মোস্তফা ও তার স্ত্রীকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। পরে তারা জামিনে বেরিয়ে এসে মনি বেগমকে বিভিন্নভাবে শাযেস্তা করার হুমকি ধমকি দিয়ে থাকে। গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় মনি বেগম তার ঘরের দুয়ারে বসে দুবাই প্রবাসী স্বামীর সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় মোস্তফা তাকে লক্ষ্য করে এসিড নিক্ষেপ করে। এতে তার হাত, ডান উড়– ও হাটুর নিচের অংশ জ্বলসে যায়। মুহূর্তের মধ্যে মারাত্মক যন্ত্রনায় মনি বেগম চিৎকার করে উঠলে আশেপাশের লোকজন দৌড়ে গিয়ে ঘটনা জেনে ক্ষতস্থানে পানি ঢেলে কিছুটা সুস্থ্য করে তাকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। পরে সেখান থেকে তাকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ণ ইউনিটে রেফার্ড করা হয়। এব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল।