বরিশাল প্রতিনিধিঃ
রমজানের শুরুতেই আগৈলঝাড়া উপজেলার বিভিন্ন বাজারে লাগামহীন হয়ে পড়েছে ভোগ্যপণ্যের দাম। ওইসব ভোগ্যপণ্যের দাম গত এক সপ্তাহে কেজি অথবা লিটার প্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা করে বৃদ্ধি পেয়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি গুড়া দুধে দাম বেড়েছে ২০ টাকা। অন্য পণ্যগুলোর দাম গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা করে বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে রসুন, পেঁয়াজ, মসুরের ডাল, ছোলাবুট, চিনি, চিড়া ও গুড়। উপজেলার বিভিন্ন বাজারের একাধিক ব্যবসায়ীর সাথে কথা বলে এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত হওয়া গেছে। ব্যবসায়ীরা দাম বৃদ্ধি পাবার কথা স্বীকার করে বলেন, পাইকারী বাজারে এসব পণ্যের দাম বাড়ায় সারাদেশের খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। ব্যবসায়ীরা আরও জানান, রমজানকে সামনে রেখে ইফতারির উপকরণসহ কয়েকটি পণ্যের দাম ইতোমধ্যেই বেড়েছে। রমজানের শুরুতেই দাম আরও বৃদ্ধি পাবার আশংকা রয়েছে। বর্তমানে খুচরা বাজারে দেশি-বিদেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি দেড় থেকে দুই’শ টাকা। ১৫ দিনের ব্যবধানে সবধরনের রসুনের দাম ২০ থেকে ৩০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। ছোলাবুট কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকা। গুড়ের দাম ১৫ দিনের ব্যবধানে ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে এখন ৮০ টাকা, চিনির দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে এখন ৭২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একসপ্তাহ আগে খেসারির ডালের কেজি ছিল ৬৫ টাকা। এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। চিড়ার দাম কেজিতে ৭ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৫২ টাকা হয়েছে। উল্লেখিত ভোগ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির ব্যাপারে ব্যবসায়ীরা জানান, রমজান মাস উপলক্ষে কিছু কিছু পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্যবসায়ীরা জানান, মুল মোকামে দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদেরকে বেশি দামে পাইকারি কিনতে হচ্ছে। আর তাদের কাছ থেকে ক্রয় করে খুচরা ব্যবসায়ীরা বিক্রি করায় খুচরা বাজারে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। নাম না প্রকাশের শর্তে কিছু ব্যবসায়ী বলেন, কতিপয় অসাধু পাইকারী ব্যবসায়ীরা রমজানের আগেই পণ্য মজুদ করায় আকস্মিকভাবে বিশেষ কিছু ভোগ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।