ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার বগুড়া কাজী-নওপাড়া গ্রামে পারিবারিক বিরোধের জেরে চাচা আক্তার বিশ্বাস (৪৫) এবং চাচী মালা খাতুন (৩৫) কে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে ভাতিজা নেছার বিশ্বাস। শনিবার সকাল ৮ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহতদেরকে প্রথমে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, প্রায় ৮ মাস আগে জেলার শৈলকুপা উপজেলার বগুড়া ইউনিয়নের কাজী-নওপাড়া গ্রামের মৃত সত্তার বিশ্বাসের ছেলে নেছার বিশ্বাসের সাথে ছোট চাচা মতিয়ার বিশ্বাসের মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর পাশ্ববর্তি কামান্না গ্রামের বন্ধু সহম আলীর সহযোগীতায় ওই গ্রামেই তাদের বিয়ে হয়।
পরে নেছার বিশ্বাসের মা এবং মেজো চাচা আক্তার বিশ্বাস সহ পরিবারের লোকজন তাদের বিয়ে মেনে না নিলে পারিবারিক ভাবে বিরোধের সৃষ্টি হয়। মামলা-মোকদ্দমা এবং সালিশ বৈঠকের পরও বিষয়টি মিমাংশা হয় না। সে সময় থেকেই নেছার বিশ্বাস তার শশুর মতিয়ার বিশ্বাসের বাড়িতেই থাকতো।
শনিবার সকালে নেছার ক্ষিপ্ত হয়ে লোকজন নিয়ে অতর্কিত মেজো চাচা আক্তার বিশ্বাসের বাড়িতে হামলা করে। এসময় তারা আক্তার বিশ্বাস ও তার স্ত্রী মালা খাতুনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারাতœক আাহত করে। তাদের উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাদেরকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। শৈলকুপার হাটফাজিলপুর পুলিশ ক্যাম্পের টু আইসি (সহকারী উপ-পরিদর্শক) জাহিদুল ইসলাম জানান, ঘটনার পর স্থানীয়রা ক্ষিপ্ত হয়ে নেছারের শশুর বাড়িতে হামলা করে বাড়িতে ভাংচুর করে। তবে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে এখনও থানায় কোন মামলা করা হয়নি। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: রাশেদ আল মামুন জানান, আহত আক্তারের বাম হাতের ৩ টা রগ কেটে গেছে, তার ঘাড়ে, পায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। এছাড়াও মালা খাতুনের মাথায়ও আঘাত রয়েছে। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।