নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত গুলশান হামলার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড ও নব্য জেএমবি নেতা মারজানসহ দুই জঙ্গির মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে। অপর জঙ্গির নাম সাদ্দাম হোসেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে এই দুই জঙ্গির মৃত্যু গুলিতেই হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ডা. সোহেল মাহমুদ।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢামেক হাসপাতালে তাদের ময়নাতদন্ত শেষ হয়। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে মোহম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকায় বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন এই দুই জঙ্গি।
উল্লেখ্য, গুলশান হলি আর্টিজান রেস্তুরাঁয় হামলায় জড়িত সন্দেহভাজন জঙ্গি মারজানের প্রকৃত নাম নুরুল ইসলাম। আনুমানিক বয়স ২২-২৩ বছর। পুলিশের তদন্তে গুলশান হামলার ‘অপারেশন কমান্ডার’ হিসেবে মারজানকে শনাক্ত করা হয়।
মারজানের বাড়ি পাবনা সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আফুরিয়ায়। মো. নাজিম উদ্দিন ও সালমা খাতুনের ১০ সন্তানের মধ্যে মারজান চতুর্থ। তিনি এক বছর পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন।
গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পাস করে তিনি পাবনা শহরের পুরাতন বাঁশবাজার আহলে হাদিস কওমি মাদ্রাসায় ভর্তি হন। সেখানে পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি পাবনা আলিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি হয়ে জিপিএ-৫ পেয়ে দাখিল ও আলিম পাস করেন। এরপর ২০১৪ সালে ভর্তি হন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগে।