খালেদা জিয়াকে সেতুমন্ত্রীর চ্যালেঞ্জ

নিজস্ব প্রতিবেদক:
পদ্মা সেতু নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দেয়া বক্তব্যে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন,  ‘আমি আপনাকে চ্যালেঞ্জ করছি তথ্য প্রমাণ দিয়ে পদ্মা সেতুতে দুর্নীতি প্রমাণ করুন। অন্যথায় বক্তব্য প্রত্যাহার করুন। না হলে আপনাকে মামলার সম্মুখীন হতে হবে’।

সোমবার রাজধানীর মিরপুর ১০ নং কমিউনিটি সেন্টারে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।  ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভা সফল করতে এ কর্মীসভার আয়োজন করে ঢাকা-১৪ আসনের অন্তর্ভুক্ত আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, পদ্মা সেতু আপনার কাছে স্বপ্ন হতে পারে, আমাদের কাছে স্বপ্ন পেরিয়ে দৃশ্যমান বাস্তবতা। ৪০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই কলামসহ দৃশ্যমান হয়ে উঠবে।

৭০ সালে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, যার কোন কাণ্ডজ্ঞান নেই, তার কাছে দায়িত্বশীল কথা বলে কি লাভ? তবুও আমরা বলতে চাই, বেগম খালেদা জিয়া; বঙ্গবন্ধু যদি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চাইতেন, তাহলে স্বাধীন বাংলাদেশ হতো না। আর স্বাধীন বাংলাদেশ না হলে আপনিও প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন না।

তিনি বলেন, আগামী ১০০ দিনে আমাদের এজেন্ডা হচ্ছে দলকে গোছানো। নতুন বছরের প্রথম তিনমাস আমরা আমাদের সাংগঠনিক কর্মসূচি পালন করবো। এর সাথে রাজনৈতিক কর্মসূচিও পালন করবো।

তিনি বলেন, নতুন বছরে আমাদের আরও একটি বড় চ্যালেঞ্জ হলো সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদ মোকাবেলা। আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদকে প্রতিহত, প্রতিরোধ এবং পরাজিত করবো।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ১০ তারিখ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আমরা একটি  বিশাল জনসভা করতে চাই।  সবাই দলে দলে ঐক্যবদ্ধভাবে জনসভায় যোগ দিয়ে শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য শুনবেন। আমরা (আওয়ামী লীগ) শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সুশৃঙ্খলভাবে ঐক্যবদ্ধ আছি তা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসমুদ্রের মাধ্যমে প্রমাণ করতে চাই।তিনি বলেন, মহিলা একটু আগে ভাগেই যাবেন তাহলে একটুও অসুবিধা হবে না।

উপস্থিত নেতাদের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, মহানগরের অন্তর্গত সকল থানা এবং ওয়ার্ডের পূর্ণাঙ্গ কমিটি শিগগিরই করতে হবে। এ কমিটিতে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ মহিলা কর্মীকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। মহিলারা সংখ্যায় অর্ধেক তাই কমিটিতে তাদের গৌণভাবে দেখার সুযোগ নেই।  তাই ৩০ শতাংশ মহিলাসহ পূর্ণাঙ্গ কমিটি অবিলম্বে ঘোষণা করতে হবে নগর নেতাদের। তিনি বলেন, সংগঠনের জন্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সভা করতে যাবো এবং সংগঠনের জন্য সময় দিব।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে লিটনকে কারা হত্যা করেছে তা সেখানকার জনগণ জানে।এ হত্যাকাণ্ডের জন্য সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে চড়ামূল্য দিতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে আমরা নির্দেশ দিয়েছি।

ঢাকা-১৪ আসনের সংসদ সদস্য আসলামুল হক আসলামের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি একে এম রহমতুল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান প্রমুখ।