বিশেষ সংবাদদাতা:
জাতীয় প্রেসক্লাবের দ্বিবার্ষিক (২০১৭-১৮) নির্বাচনে শফিক-ফরিদা প্যানেলের মুহম্মদ শফিকুর রহমান সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ফরিদা ইয়াসমিন নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান মোস্তাফা জব্বার শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন।
নির্বাচনে শফিকুর রহমান ৬৭২ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এমএ আজিজ পেয়েছেন ২৭৯ এবং খন্দকার মনিরুল আলম পেয়েছেন ১২০ ভোট।
সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে সাইফুল আলম ৮০৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নুরুল আলম পেয়েছেন ১৮৩ ভোট, মো.মুহম্মদ রুহুল কুদ্দুস ৬২ ভোট পেযেছেন।
নির্বাচনে সহ-সভাপতি পদে আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া ৫৭০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সদরুল হাসান পেয়েছেন ২৩৯ ভোট, আমিনুল ইসলাম ১৫৬ ও মোহাম্মদ মোকাররম ৪৪ ভোট পেয়েছেন।
অপরদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে ফরিদা ইয়াসমিন ৪৩৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাদের গণি চৌধুরী ৩৫০ ভোট ও কামরুল ইসলাম ২৮২ ভোট পেয়েছেন।
যুগ্ম সম্পাদক পদে শাহেদ চৌধুরী ৬২৭ ও ইলিয়াস খান ৪৫২ ভোট ভোট পেয়ে নির্বাচত হয়েছেন। তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোহাম্মদ আশরাফ আলী ৪৩৯, নাজমুল আহসান ২৪০, জহিরুল হক রাজা ৭৭ ও আবদুল গাফফার মাহমুদ ৭০ ভোট পেয়েছেন।
কোষাধ্যক্ষ পদে কার্তিক চ্যাটার্জি ৪৭৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাজী রওনাক হোসেন ৩৯২ ও সরদার ফরিদ আহমেদ ১৯৮ ভোট পেয়েছেন।
এছাড়া সদস্য পদে শ্যামল দত্ত ৫৭৪, কুদ্দুস আফ্রাদ ৫৩৫, মাইনুল আলম ৫১১, রেজায়ানুল হক রাজা ৪৮৮, মোল্লা জালাল ৪৫৯, শামসুদ্দিন আহমেদ চারু ৪৫২, হাসান হাফিজ ৪২৩, শাহনাজ বেগম ৩৯৯, কল্যাণ সাহা ৩৭৮, হাসান আরেফিন ৩৬০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
এর আগে, শনিবার সকাল ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। নির্বাচনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১৭টি পদে মোট ৫২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। বর্তমানে জাতীয় প্রেসক্লাবের মোট ভোটার এক হাজার ২১৮ জন।