নিজস্ব প্রতিবেদক
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জঙ্গিদের আত্মঘাতী হওয়ার নতুন ধরন বা কৌশল নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন, তবে শঙ্কিত নই। জঙ্গিদের আত্মঘাতী হওয়ার এ নতুন কৌশল আমাদের সতর্ক হওয়ার নতুন বার্তা।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক অনানুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যেখানে নারী আত্মঘাতী এবং শিশুকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। নারী যেখানে সুইসাইডাল স্কোয়াডে আছে, একজন কিশোর পর্যন্ত আত্মঘাতী। এ বিষয়টি নতুন মাত্রা যোগ করলো। সুইসাইড অ্যাটাকটা আমাদের দেশে নতুন মাত্রা। সুইসাইড হামলার দিক থেকে এটা আমাদের জন্য বড় ধরনের সতর্কবার্তা।
তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমাদের উদ্বেগ অবশ্যই আছে, প্রস্তুতিও আছে। আমাদের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সাহসের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে।
জঙ্গি দমন নিয়ে আওয়ামী লীগ নাটক করছে বলে বিএনপির অভিযোগ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নাটক আওয়ামী লীগ করে না। এটা আওয়ামী লীগের ইতিহাসে নেই। বরং নাটক করছে বিএনপি। আর এই নাটকে বিএনপিকেই মানায়। কারণ নাটক করা তাদের কাজ।
জেলা পরিষদ নির্বাচন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘পৃথিবীর সব দেশে নির্বাচনের আগে কালো টাকার ছড়াছড়ি হয়। বাংলাদেশেও জেলা পরিষদ নির্বাচনে নির্বাচনী প্রার্থীরা অতিরিক্ত টাকা ব্যয় করছেন বলে খবর আছে। তবে নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ীই হবে।
এ সময় তিনি জেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু করতে নির্বাচন কমিশনের আচরণবিধি অনুযায়ী সব মন্ত্রী-এমপিদের এলাকা ছেড়ে চলে আসার অনুরোধ জানান।
সেতুমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশন নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে আইন প্রণয়নের বিষয়ে যে দাবি তোলা হয়েছে সে বিষয়ে আমরাও একমত।
জেলা পরিষদ নির্বাচনে দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেবেন? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দলের সভাপতি শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে নির্দেশনা আছে নির্বাচন কমিশনের যে আচরণ তা ভায়োলেট করার ব্যাপারে আমাদের অবস্থান অত্যন্ত কঠিন। কেউ কেউ এর মধ্যে আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন বলে আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে। পার্টির জেনারেল সেক্রেটারি হিসেবে আমি তাদের প্রত্যেককে সতর্ক করে দিয়েছি। আবারও সতর্কবাতা পাঠাতে চাই যে, কোনো অবস্থাতেই নির্বাচন কমিশনের আচরণবিধি লঙ্ঘন করে করে তারা এলাকায় অবস্থান করতে পারবেন না এবং নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারবেন না। সবাইকে আবারও বলব, যারা বিভিন্ন এলাকায় আছেন, মন্ত্রী হন, এমপি হন, আপনারা স্ব স্ব এলাকা ত্যাগ করুন। নির্বাচন কমিশনের আচরণবিধি মেনে চলুন।