সোনারগাঁয় স্ত্রী ও শাশুড়িকে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা

সোনারগাঁ সংবাদদাতা

পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রী ও শাশুড়িকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল মো: ইমদাদুল হক বাদী হয়ে ভগ্নিপতি কাউছারকে আসামী করে এ মামলা দায়ের করেন। গত শুক্রবার রাতে পারিবারিক কলহের জের ধরে কাউছার তার স্ত্রী লাভলী আক্তার (২৪) ও শাশুড়িকে রাশেদা বেগম (৬০) কুপিয়ে হত্যা করে। পরে এলাকাবাসী বিষয়টি টের পেয়ে কাউছারকে আটকে রেখে থানা পুলিশে সোপার্দ করে। এদিকে নিহতদের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।

মামলার বাদী ইমদাদুল হক এজাহারে উল্লেখ করেন, বরগুনা জেলার পাথরঘাটা থানার পুর্ববাদুরতলা গ্রামের চান মিয়া হাওলাদারের মেয়ে লাভলী আক্তারকে একই থানার দক্ষিন পাথরঘাটা গ্রামের সারোয়ারের ছেলে কাউছার ছয় মাস পূর্বে বিয়ে করেন। বিয়ের পর কাউছার তার স্ত্রী লাভলী আক্তারকে নিয়ে সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের উত্তর কাঁচপুর গ্রামের খাইরুল বাশারের বাড়িতে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছিল। এ দম্পত্তি একই সঙ্গে কাঁচপুর বিসিক শিল্পনগরীর একটি গার্মেন্ট প্রতিষ্ঠানে কাজ করে আসছে।

এদিকে গত শুক্রবার সকালে লাভলীর কাঁচপুরের ভাড়া বাসায় বেড়াতে আসে তার ভাই ইমদাদুল হক, মা রাশেদা বেগম। পরে বিকেলে মা রাশেদা বেগমকে কাঁচপুরে বোনের বাসায় রেখে ইমদাদুল হক ঢাকার যাত্রাবাড়ির ছনটেকে তার বাসায় চলে যায়। পরে ওইদিন রাত সোয়া ৯টার দিকে তিনি জানতে পারেন তার মা রাশেদা বেগম ও বোন লাভলী আক্তারকে ভগ্নিপতি কাউছার কুপিয়ে হত্যা করেছে।

খবর পেয়ে ইমদাদুল ঘটনাস্থলে ছুটে এসে ঘরের মেঝেতে মা ও বোনের লাশ পড়ে থাকতে দেখে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিতদের লাশ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। একই সময় গ্রেফতার করে খুনি কাউছারকে।

ইমদাদুল হক আরো জানান, থানা পুলিশের উপস্থিতিতে ভগ্নিপতি কাউছার তার মা ও বোনকে পারিবারিক কলহের জের ধরে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করেছে।

এ ব্যাপারে সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহ মো: মঞ্জুর কাদের পিপিএম জানান, স্ত্রী-শাশুড়িকে হত্যার ঘটনায় যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। থানায় হত্যা মামলা নেওয়া হয়েছে। ওসি আরো জানান, নিহতদের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।