আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারকে ঘিরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলা হবে। এ উপলক্ষে বিশেষ কিছু পরিকল্পনাও রেখেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
এ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে থাকছে প্রত্যেকটি প্রবেশ মুখে আর্চওয়ে, চেকপোস্ট, মেটাল ডিটেক্টর সার্চ ব্যবস্থা, উন্নত ট্রাফিক ব্যবস্থা ও রোডম্যাপ। পুরো এলাকায় ক্লোজ সার্কিট (সিসি) টিভি ক্যামেরায় সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধায়ন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কন্ট্রোল রুম।
পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে র্যাবের স্ট্রাইকিং ফোর্স এবং ডগ স্কোয়াডও নিরাপত্তায় কাজ করবে। একুশে ফেব্রুয়ারিতে শহীদ মিনার এলাকায় প্রায় সাড়ে ৬ হাজার র্যাব-পুলিশের সমন্বয়ে থাকবে চার স্তরের নিরাপত্তা বলয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, একুশে ফেব্রুয়ারি শুরুর আগেই আগাম তথ্য সংগ্রহ করার জন্য বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ইতোমধ্যে নজরদারি শুরু করেছে। শহীদ মিনারের আশপাশের জগন্নাথ হল, চাঁনপুর, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পলাশী, আজিমপুর কবরস্থানসহ পুরো এলাকায় পোশাকে ও সাদা পোশাকের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ইতোমধ্যেই তৎপরতা শুরু করেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পলাশী বাংলা একাডেমির বই মেলাসহ পুরো এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে ওই দিন। একুশে ফেব্রুয়ারির নিরাপত্তার বিষয়ে ইতোমধ্যে একাধিক বৈঠক করেছে ডিএমপি’র কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটান পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মারুফ হোসেন সরদার বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারিতে শহীদ মিনারে আসা ভিভিআইপি, ভিআইপিসহ দেশি-বিদেশি অতিথিদের নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এছাড়াও ডিএমপি’র পক্ষ থেকে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য সব ধরণের প্রস্তুতি নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান বলেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে শহীদ মিনার এলাকায় র্যাবের পক্ষ থেকে থাকবে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। যদিও দিবসটিকে কেন্দ্র করে কোনো ধরণের হুমকি নেই, তবুও সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতে র্যাব কাজ করবে।