১৭ ডিসেম্বর নাসিক মেয়র প্রার্থীরা জনতার মুখোমুখি হবেন

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: সুশাসনের জন্য নাগরিক ‘সুজন’ নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, আগামী ১৭ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জের মেয়র প্রার্থীরা নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জনতার মুখোমুখি হবেন। যদি প্রয়োজন হয় তাহলে নির্বাচনের আগেই সেনাবাহিনী নিয়োগের দাবী জানান তারা। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ২০১ জন প্রার্থীর মধ্যে প্রায় ৬০ ভাগের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসির নীচে। আর ৮০ ভাগই ব্যবসায়ী।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারি প্রার্থীদের তথ্য উপস্থাপন এবং অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠ নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বানে জেলা সুজন আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা একথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শোনান সুজন এর কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দীলিপ সরকার। সাথে ছিলেন কেন্দ্রীয় সহযোগী সমন্বয়ক সানজিদা হক, সহ-সাধারণ সম্পাদক এস এম এইচ টিটু, আঞ্চলিক সমন্বয়ক মশিকুল ইসলাম শিমুল।
জেলা সুজনের সভাপতি আব্দুর রহমান, সাধারন সম্পাদক ধীমান সাহা জুয়েল, নারায়ণগঞ্জ মহানগর সুজনের সভাপতি এডভোকেট এহসানুল করিম চৌধুরী বাবুল প্রমুখ। এর আগে একই আহবান ও বিভিন্ন দাবীতে তারা নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন।
লিখিত ও মৌখিক বক্তব্যে তারা বলেন, নির্বাচনে ৭ জন মেয়র প্রার্থীর দাখিলকৃত হলফনামা অনুযায়ী বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এডভোকেট সাখাওয়াৎ হোসেন খান ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী এডভোকেট মাহাবুবুর রহমান ইসমাঈল এর বিরুদ্ধে বর্তমানে দুইটি করে ফৌজদারি মামলা রয়েছে। অতীতেও তাদের বিরুদ্ধে যথাক্রমে দুইটি ও চারটি করে মামলা ছিল। তবে ডাঃ সেলিনা হায়াৎ আইভীসহ অন্য ৫ মেয়র প্রার্থীর বিরুদ্ধে অতীত ও বর্তমানে কোন মামলা নেই।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সিটি নির্বাচনের ৭ জন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে শুধুমাত্র বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী এডভোকেট মাহাবুবুর রহমান ইসমাইল এর ৫ লাখ ৮১ হাজার ৮২ টাকা ঋন রয়েছে। নির্বাচনে মোট ২০১ জন প্রার্থীর মধ্যে ঋণ গ্রহীতা হচ্ছেন ১৮ জন। তাদের মধ্যে ৩ কাউন্সিলর প্রার্থীর কোটি টাকার উপরে ঋণ রয়েছে। এরা হলেন- ২ নং ওয়ার্ডের সোহরাব হোসেনের ২ কোটি ৬০ লাখ, ৫ নং ওয়ার্ডের গোলাম মুহাম্মদ কায়সারের ১ কোটি ৪২ লাখ ৯ হাজার ৪শ’ ৮৪ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সিরাজুল ইসলামের ১ কোটি ২৯ লাখ ২৮ হাজার ৪শ’ ৩২ টাকা।
লিখিত বক্তব্য পাঠ শেষে নেতৃবৃন্দ আগামী ২২ ডিসেম্বর সরকার ও নির্বাচন কমিশনের কাছে একটি আবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রত্যাশা করেন।
ভোট প্রদানের ক্ষেত্রে সৎ, যোগ্য ও জণকল্যানে নিবেদিত ব্যক্তিকে নির্বাচিত করার জন্য ভোটারদের প্রতি আহবান জানান তারা। একই সাথে অর্থ প্ররোচনা ও আবেগের বশবর্তী হয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ না করা সহ সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী ও দূর্ণীতির সাথে জড়িত ব্যক্তিদের ভোট না দেয়ারও অহবান জানানো হয়।
ভোটারদের পাশাপাশি প্রার্থীদের নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলার আহবানসহ অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতিও তারা দাবী জানান। এছাড়া নির্বাচনে আচরণবিধির কথা মনে রেখে প্রার্থীদের পক্ষে প্রচার প্রচারণায় অংশগ্রহন থেকে বিরত থাকার জন্য সরকারের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের প্রতি আহবান জানান। ভোট গ্রহণের দিন ভোট কেন্দ্রে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীরা যাতে কোন বিশেষ প্রার্থী বা দলের