সিএমএইচে সৈয়দ আশরাফের মরদেহ

অনলাইন ডেস্ক : আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মরদেহ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

রাজধানীর বেইলি রোডের সরকারি বাসভবন থেকে রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে মরদেহ নিয়ে বেরিয়ে যায় তার লাশবাহী গাড়িটি।

এদিকে শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে লাশবাহী একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে মরদেহ তার বাসভবনে নেওয়া হয়। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতসহ দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যরা এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে তার মরদেহ বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। বিমানবন্দরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে দলটির নেতারা সৈয়দ আশরাফের মরদেহ গ্রহণ করেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সৈয়দ আশরাফের মরদেহ শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে তার বেইলি রোডের সরকারি বাসভবনে নেওয়া হবে। রাতে মরদেহ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হবে।

গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সৈয়দ আশরাফ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। তিনি এক মেয়েসহ বহু আত্মীয়-স্বজন, গুণগ্রাহী ও নেতাকর্মী রেখে গেছেন।

২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর সৈয়দ আশরাফুলের স্ত্রী শীলা আহমেদ মারা যাওয়ার পর থেকেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুসের ক্যান্সারে ভুগছিলেন।

অসুস্থতার কারণে তিনি গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর সংসদ থেকে ছুটি নেন। এ অবস্থাতেই একাদশ সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-১ আসনে নৌকা প্রতীকে বিপুল ভোটে জয়ী হন সৈয়দ আশরাফ।

সৈয়দ আশরাফ জনপ্রশাসনমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য। তিনি ৫ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ২০০৯ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।