অনলাইন ডেস্ক : বুমস্ল্যাং প্রজাতির সাপের দংশনে মানুষের শরীরের রক্ত জমাট বাধতে পারে না, ফলে দংশিত ব্যক্তির রক্তপাতে মৃত্যু হয়
সাপের বিষ শরীরে নিয়ে ডায়রি লিখতে লিখতে মারা গিয়েছিলেন কার্ল প্যাটারসন স্মিথ নামে একজন সাপ গবেষক। এ ঘটনাটি ১৯৫৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ঘটলেও পরে তা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পায়।
জানা গেছে, গবেষণার জন্য শিকাগোর লিঙ্কন পার্ক চিড়িয়াখানার পরিচালক একটি সাপ শহরের ফিল্ড মিউজিয়াম অব ন্যাচারাল হিস্ট্রিতে পাঠান। ৭৬ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্যের সরীসৃপটি পরীক্ষা করার দায়িত্ব পান কার্ল প্যাটারসন স্মিথ। কারণ, ওই মিউজিয়ামে সাপ গবেষক হিসেবে কাজ করছিলেন তিনি।
শিকাগো ডেইলি ট্রিবিউনে ১৯৫৭ সালের ৩ অক্টোবর এভাবেই শিরোনাম হয় এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা
স্মিথ তার ডায়রিতে লিখেছিলেন, সাপটির মাথা উজ্জ্বল রঙের নকশায় ঢাকা ছিল এবং এর মাথার আকৃতি ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার গেছো সাপের মতো, যেগুলো বুমস্ল্যাং নামেও পরিচিত।
স্মিথের ডায়রির মাধ্যমে আরো জানা গেছে, নিবিড়ভাবে পরীক্ষা করার জন্য সাপটিকে নিজের কাছাকাছি আনলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে আক্রমণ করে এবং বাঁ হাতের বুড়ো আঙুলে কামড়ে দেয়। এ সময় তার শরীরে বিষের কি প্রভাব হচ্ছে তা ডায়রিতে রেকর্ড করতে থাকেন। তবে ২৪ ঘণ্টার কম সময় পর মারা যান স্মিথ। তথ্যসূত্র : বিবিসি