একাত্তরলাইভডেস্ক: বানরের সঙ্গে লেজ খুব মানানসই, বাঁদরামির সঙ্গে তো বটেই, লেজ না থাকলেই বেমানান মনে হতো। এমন কি, বানরের কীর্তিকলাপের সঙ্গেও।মানুষের লেজ হলে সেও কি বানরের মতো সারাদিন লাফালাফি করতো? কি করতো, না করতো, সে ব্যাপারে নানা জল্পনা-কল্পনা করা যেতে পারে। কিন্তু সে যে মহাবিপাকে পড়তো, সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই।বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, ভারতে ১৮ বছর বয়সের এক যুবকের সত্যি সত্যি একটি লেজ গজিয়েছে। লেজটি কিন্তু তার একদিনে গজায়নি কিংবা রাতে ঘুমালাম ভালভাবে, সকালে উঠে দেখলাম লেজ গজিয়েছে মোটেও সেরকম ব্যাপার নয়। বরং লেজটি গজিয়েছে তার বহুদিন আগে, ১৪ তম জন্মদিনের শুরুতে।এতদিন লেজটির কথা গোপন রেখেছিল ছেলেটি। অবশ্য পরিবারেরও সহায়তা ছিল এতে। কিন্তু সমস্যা হলো বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লেজও বড় হতে লাগল। ফলে সেটির কথা গোপন রাখাই বড় কঠিন হয়ে পড়ে তার কাছে।বন্ধু-বান্ধবদের মধ্যে দু-একজন জানতে পেরে শুরু হয়ে যায় ছেলেটির সঙ্গে ইয়ার্কি-ফাজলামো। কোনো কোনো সময় তা মাত্রা ছাড়িয়ে যেতো। ফলে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয় ছেলেটিকে। কিন্তু ততদিনে লেজের মধ্যে আবার হাড় গজিয়ে ওঠা শুরু করেছে।মানুষের লেজ গজিয়ে ওঠার ঘটনা সচরাচর শোনা কিংবা দেখা যায় না, রীতিমতো বিরল। ‘তবে লেজটি শরীরের ভেতরে গজিয়ে উঠলে কোনো অসুবিধা হতো না কিন্তু সমস্যা হলো লেজটি গজিয়েছে ঠিক জায়গা মতো, ঠিক যেখানে লেজ গজিয়ে থাকে,’ বললেন ছেলেটির মা। তিনি তার নাম প্রকাশ করতে চাননি।‘যতবারই সে লেজটি খাড়া করে ততবারই কাপড় পাল্টাতে হয়’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি তাকে সে অবস্থায় দেখেছি। খুবই বেদনাদায়ক মুহূর্ত সেটি। বিশেষ করে তার (ছেলেটি) জন্য। তাই তাকে আমি হাসপাতালে নিয়ে এসেছি।’ডাক্তাররা বলছেন, গর্ভাশয়ে থাকা অবস্থায় লেজ গজিয়ে থাকতে পারে। মেরুদণ্ডের হাড়ে বিকৃতির কারণেও এটি সৃষ্টি হয়ে থাকতে পারে।‘বেড়ে ওঠার পর লেজটির চাপ পড়ে পিঠে,’ বললেন ডা. প্রমোদ গিরি। তিনি বলেন, লেজ অপসারণ জটিল কোনো বিষয় নয়। তারপরও নিউরোসার্জন দিয়ে এই অপসারণ করা প্রয়োজন। কেননা লেজটির বেড়ে ওঠা মেরুদণ্ডের হাড়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
লেজ নিয়ে বিপাকে
October 8, 2016