নিজস্ব প্রতিবেদক:
বেসরকারি অধিকাংশ ব্যাংকগুলোর পরিচালন মুনাফা বাড়লেও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর পরিচালন কমেছে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ৫ বাণিজ্যিক ব্যাংকের মধ্যে শুধু বেসিক ব্যাংকেরর মুনাফা আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে। এদিকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মধ্যে গত বছরে সবচেয়ে বেশি মুনাফা করেছে জনতা ব্যাংক।
২০১৬ সালে জনতা ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা হয়েছে ১ হাজার ৬ কোটি টাকা। আগের বছর ব্যাংকটির মুনাফা ছিল ১ হাজার ১৬২ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে মুনাফা কমেছে ১৫৬ কোটি টাকা। তবে সরকারের সঙ্গে চুক্তির লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি মুনাফা করেছে ব্যাংকটি। বছর শেষে জনতা ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা করার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯০০ কোটি টাকা।
জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান শেখ মোঃ ওয়াহিদ-উজ-জামান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আবদুস সালাম বলেন, ১৩টি সূচকে উন্নতির জন্য অর্থমন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তির রয়েছে। সেই অনুযায়ী ঋণ আদায়ে মাঠ পর্যায়ে তদারকির মাত্রা বৃদ্ধি ও ভাল গ্রাহকদের দেখে ঋণ বিতরণর ফলে এ সাফল্য এসেছে। নিষ্ঠার সাথে কর্মসম্পাদন, পরিকল্পনা তৈরি এবং তা বাস্তবায়নে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ায় জনতা ব্যাংক সর্বোচ্চ মুনাফার সাফল্য ধরে রাখতে পেরেছে। এছাড়া ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করার জন্য বিশেষ কর্ম পরিকল্পনাও গ্রহণ করা হয়। সার্বিকভাবে সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টা, জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা এবং সময়োপযোগী সঠিক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ফলে রাষ্ট্রীয় খাতের মধ্যে জনতা ব্যাংক সবচেয়ে বেশি মুনাফা করেছে।
সোনালী ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা অর্ধেকে নেমে এসেছে। গত ২০১৬ সালে ব্যাংকটির মুনাফা হয়েছে ৪২৮ কোটি টাকা। গত ২০১৫ সালে যা ছিল ৮৬৩ কোটি টাকা। এক বছরে মুনাফা কমেছে ৪৩৫ কোটি টাকা।
অগ্রণী ব্যাংকের মুনাফা ১ হাজার কোটি টাকা থেকে কমে ৬৯৮ কোটি টাকায় নেমে এসেছে। অন্যদিকে রূপালী ব্যাংক লাভ থেকে লোকসান করেছে। গত ২০১৫ সালে ব্যাংকটির মুনাফা হয় ২৮২ কোটি টাকা। গত বছর শেষে লোকসান হয়েছে প্রায় ১০০ কোটি টাকা।
ঋণ জালিয়াতিতে সমস্যাগ্রস্থ বেসিক ব্যাংক লোকসানের ধারা থেকে মুনাফার ধারায় ফিরেছে। গত ২০১৫ সালে ব্যাংকটির পরিচালনে লোকসান হয় ২৩৫ কোটি টাকা। গত বছর পরিচালন মুনাফা করেছে ১৪ কোটি ৮৭ লাখ টাকা।