লাইফস্টাইল ডেস্ক:
রান্না করতে গিয়ে নানারকম ঝক্কিঝামেলা কমবেশি সবাইকেই পোহাতে হয়। এটা পুড়ে গেল তো ওটা ধরে এলো। দক্ষ কেউ না হলে রান্নাঘর সামলানো চাট্টিখানি কথা নয়। এই রান্নার পেছনেই ব্যয় করতে হয় দিনের অনেকটা সময়। তবে একটু কৌশলী হলে বেশ কিছুটা সময় বাঁচানো সম্ভব। কীভাবে? চলুন জেনে নিই-
স্টক করুন আচার, চাটনি, মেয়নিজ ও নানা রকম সস। এগুলো খাবারের স্বাদ বাড়ায়। এক কাজের সাথে অন্য কাজ মিশিয়ে করলে অনেক সময় বাঁচে। যেমন- মাংস বা এমন কিছু সেদ্ধ হওয়ার সময় আপনি অন্য কিছু কাজ সেরে ফেলতে পারেন।
তেল, ঘি কিংবা আচার, যেখানে রাখবেন সেখানে প্লাস্টিক বা গ্রিজপ্রুফ পেপার সিট বিছিয়ে নিন। তাহলে প্রত্যেকবার তেল ঘি মুছতে সময় নষ্ট হবে না। হাতের কাছে একটা কাঁচি রাখুন। প্যাকেট খোলার দরকার ছাড়াও ধনেপাতা, কারিপাতা চট করে কেটে নেয়া যাবে।
আগের দিন কোন কাজ একটু বেশি করে রাখলে পরের দিন আর করতে হয় না। যেমন- সবজি কাটার সময় একটু বেশি করে কেটে ফ্রিজে রাখুন। বেশি পরিমাণে জল কিংবা আলু সেদ্ধ করে রাখুন। যখন ডিম সিদ্ধ করবেন তখন তার সাথে কিছু আলু সিদ্ধ করে নিন। পরে তরকারিতে ব্যবহার করতে পারবেন।
পুরো সপ্তাহের বাজার একবারে করে স্টক করুন। মাছ, মাংস প্রয়োজন মতো দুই/একদিন পর পর কিনুন। বাড়িতে টিনজাত খাদ্য রাখুন। প্রক্রিয়াজাত বা ফ্রোজেন খাদ্য রাখুন যা প্রয়োজনে চট করে রান্না করা যাবে।
বিকেলের নাস্তার জন্য সকালের ময়দা, আটা মেখে রাখুন। তাহলে আর বাড়তি সময় লাগবে না। চা, চিনি, ডাল নানারকম মসলা-পাতি টান্সপারেন্ট জার অথবা লেবেল দিয়ে নির্দিষ্ট স্থানে রাখুন। তাহলে খুঁজতে সময় নষ্ট হবে না।