মহাসংকটে থ্যালাসেমিয়া রোগীরা

একাত্তরলাইভ ডেস্ক থ্যালেসেমিয়া রোগীদের বাঁচাতে প্রতি মাসেই দিতে হয় রক্ত। কিন্তু করোনোভাইরাস (কোভিড-১৯) এর মহামারীতে ডোনার সংকট আর অপ্রতুল চিকিৎসা ব্যবস্থা থ্যালাসেমিয়া রোগীদের ফেলে দিচ্ছে বাড়তি ঝুঁকিতে।

থ্যালাসেমিয়া রোগী আলমিন ও আদর দুই ভাইকে প্রতি মাসেই নতুন রক্ত নিতে হয়। কিন্তু করোনাকালে থ্যালাসেমিয়ার বিরুদ্ধে তাদের এ লড়াই হয়ে ওঠেছে আরও যন্ত্রণাদায়ক।

থ্যালাসেমিয়া রোগী আলামিন জানায়, তাকে চিকিৎসা নিতে প্রতিমাসে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকায় আসতে হয়। প্রতি এলাকায় যদি আলাদা থ্যালাসেমিয়া ইউনিট থাকতো তবে এতো দুর্ভোগ পোহাতে হতো না।

গবেষণা বলছে, প্রতি বছর ১৪ থেকে ১৫ হাজার শিশু জন্ম নিচ্ছে থ্যালাসেমিয়ার সমস্যা নিয়ে। বর্তমানে প্রায় ৯০ হাজার শিশু এ রোগে ভুগছে। আর দেশে থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক দেড় কোটিরও বেশি।

এসব ভয়াবহ তথ্যের মাঝে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে থ্যালাসেমিয়ার চিকিৎসা ব্যবস্থা। সরকারি ব্যবস্থাপনায় কয়েকটি হাসপাতালে থ্যালাসেমিয়া ইউনিট আর থ্যালাসেমিয়া সমিতির উদ্যোগে বিচ্ছিন্নভাবে চলছে এর চিকিৎসা।

বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া সমিতির প্রজেক্ট কোঅর্ডিনেটর মাগরুফা বলেন, থ্যালাসেমিয়া রোগীদের জন্য আমাদের রক্ত সংগ্রহ অনেক কমে গেছে। করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায় আমরা নিয়মিত ডোনার পাচ্ছি না। আবার এই রোগের চিকিৎসা খুবই ব্যয়বহুল।

বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া সমিতির সিওও ড. এ কে এম ইকরামুল হোসেন বলেন, থ্যালাসেমিয়া রোগের চিকিৎসাকে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এক ছাতার নিচে আনতে হবে। সবাইকে এই রোগের কারণ ও ভয়াবহতা সম্পর্কে বোঝাতে হবে।

থ্যালাসেমিয়া একটি বংশগত ত্রুটিপূর্ণ জিনজনিত রোগ। বাবা-মা দুইজনই থ্যালাসেমিয়ার বাহক হলে সন্তানেরও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। যমুনা টিভি। (ফাইল ছবি)