আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রতিবেশি দেশ ভারতে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ফের ভয়ংকর আকার ধারণ করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে প্রায় আড়াই লাখ মানুষের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে, যা চলমান ঢেউয়ের মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ১১ শতাংশ। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৩৮০ জন।
বৃহস্পতিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, ওমিক্রনে আক্রান্ত ৫ হাজার ৪৮৮ জনসহ দেশটিতে এ পর্যন্ত ৩ কোটি ৬৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
রাজ্যগুলোর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে সর্বোচ্চ ৪৬ হাজার ৭২৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছেন, যা আগের দিনের চেয়ে ২৭ শতাংশ বেশি। তাদের মধ্যে ৮৬ জন ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে রাজ্যটিতে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬৭ জনে দাঁড়িয়েছে।
দিল্লিতে ২৭ হাজার ৫৬১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে, যা গত ২৪ ঘণ্টার চেয়ে ২৯ শতাংশ বেশি। রাজ্যটিতে সংক্রমণের হার ২৬ শতাংশে পৌঁছেছে। যা গত ৭ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
কেরালায় ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছেন ১২ হাজার ৭৪২ জন, যা গত তিন মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এছাড়াও ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ২৩ জন।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আজ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আলোচনার কথা রয়েছে।
ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্র মতে, এখন পর্যন্ত দেশটিতে অন্তত ১৫৪ কোটি ৬১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৬৫ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে করোনার সংক্রমণ রোধে দেশটির প্রায় প্রতিটি রাজ্যেই কড়াকড়ি চালু হয়েছে। প্রায় সব বড় শহরেই রাতের কারফিউ জারি করা হয়েছে। মহারাষ্ট্র সরকার জানিয়ে দিয়েছে, কড়াকড়ি আগের মতোই বহাল থাকবে। পুনেতে আবার করোনা শিবির খোলা হয়েছে।
দিল্লিতে জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ছাড়া সব বেসরকারি অফিস বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কর্মীরা বাড়ি থেকে কাজ করবেন। সপ্তাহান্তের কারফিউ বহাল আছে।
দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, করোনা আক্রান্তের সংখ্যা না কমা পর্যন্ত কড়াকড়ি বহাল থাকবে। দিল্লির রাস্তায় গাড়ির পরিমাণ কম। মানুষজনও কম বেরোচ্ছেন। রাস্তায় হোম ডেলিভারির সঙ্গে যুক্তদেরই বেশি দেখা যাচ্ছে। দিল্লিতে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ, রেস্তোরাঁতে হোম ডেলিভারি ছাড়া বসে খাওয়া বন্ধ, বন্ধ করে দেয়া হয়েছে স্পা, সুইমিং পুল, জিম। বিয়েতে ২০ জনের বেশি আমন্ত্রিত থাকতে পারবেন না।