ভাইরাস শনাক্তে সব বিমানবন্দরে স্ক্যানার দেবে কোরিয়া

অনলাইন ডেস্ক : টেস্ট কেস হিসেবে দেশের সব বিমানবন্দরে বিনামূল্যে স্ক্যানার মেশিন দেবে দক্ষিণ কোরিয়া। মেশিনটি সব ধরনের ভাইরাস শনাক্ত করতে পারে।

সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠক হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে তিনি ব্রিফ করেন।

করোনাভাইরাস নিয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা- জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এটা নিয়ে আমরা রেগুলার আলাপ-আলোচনা করছি। আজকে এটা নিয়ে স্পেসিফিক আলোচনা হয়নি। গতকাল আলোচনা হয়েছে, বৃহস্পতিবারও আলোচনা হয়েছে। এটা নিয়ে আমরা কনসার্ন আছি।

‘রিসেন্টলি কোরিয়া থেকে একটা স্ক্যানিং সিস্টেম অ্যাওয়ার্ড করা হচ্ছে। গত বুধবার এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের হোম মিনিস্টার (স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) এটা বলেছেন। ওনার কাছে একটা অফার আসছে।’

‘এটা আরও মোডিফাইড জিনিস, যে কোনো ভাইরাস থাকলে ওটার মধ্য দিয়ে গেলেই ধরা পড়বে। আমাদের যে সিস্টেম আছে সেটাও থাকবে, ওটা থাকবে ইন ইডিশন। এটা আরও সিকিউরড।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘তারা এমনিতেই এটা (স্ক্যানার মেশিন) আমাদের দেবে। টেস্ট কেস হিসেবে আমাদের দিচ্ছে। আমাদের সবগুলো এয়ারপোর্টেই তারা দেবে।’

খন্দকার আনোয়ারুল বলেন, ‘এটা কোরিয়ান টেকনোলজি, তারা এটা আবিষ্কার করেছে। তারা বলছে, এটা দিয়ে যে কোনো ভাইরাসসহ কেউ আসলেই ধরা পড়বে।’

গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথমবারের মতো ধরা পড়ে করোনাভাইরাস। এখন পর্যন্ত এটি বিশ্বের অন্তত ৩০ দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরের একটি সামুদ্রিক খাবারের বাজার থেকে এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু।

এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার ৭৭৫ জনে দাঁড়িয়েছে।

শুধু রোববারই চীনে মারা গেছে ১০৫ জন। চীনের মূল ভূখণ্ডের বাইরে তাইওয়ানেও মারা গেছে একজন।

হুবেই প্রদেশের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রোববার হুবেই প্রদেশে আরও ১০০ জন করোনাভাইরাস থেকে সৃষ্ট কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এ ছাড়া পার্শ্ববর্তী হেনান প্রদেশে তিনজন এবং গুয়াংডং প্রদেশে দু’জন এই রোগে মারা গেছেন।

চীনে আরও ২ হাজার ৪৮ জন নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশটির মূল ভূখণ্ডে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৭০ হাজার ৫৪৮ জন। আর বিশ্বব্যাপী করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭১ হাজার ৩২৬ জনে।