অনলাইন ডেস্ক : বাংলাভাষীদের তথ্যপ্রাপ্তির সুযোগ নিশ্চিত করা এবং পারস্পরিক সমঝোতাকে এগিয়ে নিতে বাংলা ভাষায় ওয়েবসাইট চালু করে বাংলাদেশের মার্কিন দূতাবাস বলেছে, দূতাবাসের বাংলা ভাষার ওয়েবসাইটটির সঙ্গে আমাদের ইংরেজি ওয়েবসাইটের অনেক মিল থাকবে। এটি যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের ক্রমপ্রসারমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ, ভ্রমণ ভিসা, সংস্ককৃতিগত, শিক্ষাগত ও পেশাগত এক্সচেঞ্জ কর্মসূচিসহ অনেক কিছু সম্পর্কে তথ্য জোগাবে।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আগের দিন বৃহস্পতিবার চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স (সিডিএ) জোয়ান ওয়াগনার দূতাবাসের এই বাংলা ভাষার ওয়েবসাইট চালু করেন বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে মার্কিন দূতাবাস।
এতে বলা হয়, এটি দূতাবাসের ইংরেজি ওয়েবসাইটটির প্রায় অনুরূপ। বাংলা ওয়েবসাইটটি বাংলাদেশ এবং বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা সব বাংলাভাষীর জন্য নানা ধরনের বিষয়বস্তু পরিবেশন করবে। দূতাবাসকে বাংলাদেশিদের সঙ্গে আরও কার্যকরভাবে যোগাযোগ এবং যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে প্রসারিত করতে সহায়তা করবে এই ওয়েবসাইট।
যাতে দুই ভাষার মানুষের জন্যই যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র নীতি, ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ, যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণের ভিসা এবং শিক্ষাগত ও পেশাগত এক্সচেঞ্জ কর্মসূচিসহ অনেক বিষয়ে তথ্য পাওয়া নিশ্চিত হয়, সেজন্য বাংলা ও ইংরেজি উভয় ওয়েবসাইটই নিয়মিত আপডেট করা হবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি, মিডিয়া নোট, প্রেস বিবৃতি, সংবাদবিষয়ক অনুষ্ঠান, নিরাপত্তা ও জরুরি বার্তা, বক্তৃতা, মিডিয়া সাক্ষাৎকার এবং অন্যান্য বার্তা ইংরেজি এবং বাংলা উভয় ভাষায়ই পোস্ট করা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে মার্কিন দূতাবাস।
বাংলা ওয়েবসাইটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিডিএ ওয়াগনার বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বাংলাদেশে এবং বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশিদের হৃদয়ে একটি বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে। বাংলাদেশের ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনই জাতিসংঘকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস প্রবর্তনে উৎসাহিত করে। অতীতে সংঘটিত এই ঐতিহাসিক বাংলাভাষা আন্দোলনকে শ্রদ্ধা জানাতে দূতাবাসের পক্ষে এর নতুন বাংলা ওয়েবসাইট উদ্বোধন করা আমার জন্য সম্মান এবং আনন্দের।’
বৈঠকের কারণে বাংলাদেশের বাইরে থাকায় অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারেননি বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলার। তবে নতুন ওয়েবসাইট সম্পর্কে তিনি একটি বার্তা পাঠিয়েছেন। এতে তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রাক্কালে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের নতুন বাংলা ভাষার ওয়েবসাইটের উদ্বোধন ঘোষণা করতে পেরে আমি গর্বিত। আমরা আশা করি, এ অসাধারণ জাতি যে ভাষাটির মর্যাদা রক্ষার জন্য বীরত্বের সঙ্গে লড়েছে সেই বাংলা ভাষার নতুন ওয়েবসাইট বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া বৃদ্ধি করবে।‘
তিনি বলেন, ‘ওয়েবসাইটটি বাংলাদেশ এবং বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা বাংলাভাষীদের জন্য যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্ক, ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ, ভিসাবিষয়ক তথ্য, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক পরিষেবা, যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যয়ন, সাংস্কৃতিক, শিক্ষামূলক এবং পেশাগত এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামসহ অনেক কিছু সম্পর্কে পড়া ও আলোচনার সুযোগ করে দেবে।’
ঢাকা দূতাবাসের বাংলা ওয়েবসাইটটি চালু করা বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বৃহত্তর সহযোগিতা, সংলাপ ও পারস্পরিক সমঝোতাকে এগিয়ে নেয়া এবং একটি স্বাধীন উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল নিশ্চিত করতে একটি শক্তিশালী অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের একটি।