স্পোর্টস ডেস্ক: রেকর্ড করেই জিততে হবে এই কথাটি মাথায় রেখেই দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ৩২১ রানের বোঝা নিয়ে ভার সইতে পারলো না স্বাগতিকরা। ব্যাটসম্যানদের ক্রমাগত ব্যর্থতায় ১৬৯ রানেই থেমে যায় বাংলাদেশ। তাতেই ১৫১ রানের জয় পান সফরকারী জিম্বাবুয়ে। সিলেটের অভিষেক টেস্টে স্বাগতিকরা হারল চার দিনেই।
সিরিজের প্রথম টেস্ট ১৫১ রানে জিতে পাঁচ বছর পর জিম্বাবুয়ে কোনো টেস্ট ম্যাচ জিতল। আর দেশের বাইরে জিতল ১৭ বছর পর! ওয়ানডে সিরিজে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করলেও টেস্টের শুরুটা হলো হার দিয়ে।
৩২১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় দিন শেষে বিনা উইকেটে ২৬ রান তোলে স্বাগতিকরা। অপরাজিত থেকে চতুর্থ দিনে ব্যাটিংয়ে নামেন লিটন দাস (১৪) এবং ইমরুল কায়েস (১২)। দু’জন মিলে চতুর্থ দিনের শুরুটা ভালভাবেই করেছিলেন। তবে দলীয় ৫৬ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ২৩ রানে এলবির শিকার হয়ে ফেরেন লিটন।
স্কোরকার্ডে ১১ রান যোগ হতেই কাইল জার্ভিসের বোল্ড হয়ে ফেরেন মুমিনুল হক (৯)। ৬৭ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দলীয় ৮৩ রানে ফিরে যান ইমরুলও (৪৩)। ইমরুলকে ফেরায় মধ্যাহ্ন বিরতির আগেই তিন উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে বাংলাদেশ। দলীয় ১০২ রানে আউট মাহমুদউল্লাহর আউটে বিপদে পড়ে টাইগাররা। দুই ইনিংসেই ব্যাট হাতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন রিয়াদ। প্রথম ইনিংসে শূণ্য রান, দ্বিতীয় ইনিংসে করেছেন ১৬।
মধ্যাহ্ন বিরতির আগে মাভুতার বলে মারতে গিয়ে রাজার হাতে ক্যাচ দিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ১১১ রানে বাংলাদেশ হারালো পঞ্চম উইকেট। এরপর দ্বিতীয় সেশনে আরিফুল হককে সঙ্গে নিয়ে এগুচ্ছিলেন মুশফিক। দলীয় ১৩২ রানে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরের পথ ধরেন মুশফিক। আউট হয়ে ফেরার আগে ১৩ রান করেন বাংলাদেশ দলের এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। দলীয় ১৫০ রানে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ৭ রানেই ফিরে যান মেহেদী হাসান মিরাজ।। এরপর রান যোগ করার আগেই ওয়েলিংটন মাসাকাদজার বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তাইজুল ইসলাম।
মাভুতার করা ওভারের প্রথম বলে এলবির শিকার হয়ে শূন্য হাতে ফেরেন নাজমুল হাসান অপু। অপু শুন্য রানে ফিরলে হারটা একেবারে নিশ্চিত হয়ে যায়। যা লড়ার একটু লড়েছেন আরিফুল হক। প্রথম ইনিংসে অপরাজিত ছিলেন ৪১ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসেও ৩৮ রান করেছেন অভিষিক্ত এই ক্রিকেটার। জিম্বাবুয়ের হয়ে মাভুতা ৪টি, রাজা ৩টি আর ওয়েলিংটন মাসাকাদজার নিয়েছেন ২টি উইকেট।
এই টেস্টে প্রথমবারের মতো ১০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি অর্জন করলেন বাংলাদেশি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। প্রথম ইনিংসেই তাইজুল নিয়েছিলেন ৬ উইকেট। টেস্টে এর আগে এক ইনিংসে ৮ উইকেটও পেয়েছেন, কিন্তু ম্যাচে ১০ উইকেট পাওয়া হয়নি কখনো। এবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ছয় উইকেটের পর দ্বিতীয় ইনিংসে তুলে নিয়েছেন ৫ উইকেট। এই টেস্টে সবমিলিয়ে ১৭০ রান দিয়ে ম্যাচে পেয়েছেন ১১ উইকেট। টেস্টে এটি বাংলাদেশের হয়ে তৃতীয় সেরা বোলিং।