কে. এম. রুবেল, ফরিদপুর
ফরিদপুরের কৃষক পর্যায় থেকে সরকারীভাবে গম ক্রয় শুরু হয়েছে। এবছর জেলার নয়টি উপজেলা থেকে সাত হাজার ছয়শ মেট্রিক টন গম সরকারীভাবে ক্রয় করা হচ্ছে। সরকারীভাবে মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি কেজী ২৮ টাকা।ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের বাগুয়ান গ্রামের গম চাষী সেকেন্দার মোল্লা জানান এবছর তিনি তিন টন গম সরবরাহ করেছেন। প্রতিমন ১১শ ২০টাকা হারে বিক্রয় মূল্য পেয়েছেন। ঝামেলামুক্তভাবে মূল্য সংগ্রহ করতে পেরে খুশি তিনি।
একই উপজেলার ছোলনা গ্রামের হাফিজুর রহমান বলেন, গম দেয়ার তিনদিন পর ব্যাংকের মাধ্যমে মূল্য বুঝে পেয়েছি। তিনি জানান বাজারে বর্তমানে ২২ থেকে ২৩ টাকায় প্রতিকেজী গম বিক্রি হলেও সরকার প্রতিকেজী ২৮ টাকা নির্ধারণ করায় কৃষকরা লাভবান হচ্ছে।আধারকোঠার বাবু বিশ্বাস জানান, কৃষকরা বিভিন্ন ফসলের আবাদ করে ক্ষতির মুখে পড়লেও গম চাষীরা সরকারের নির্ধারিত মূল্যে গম বিক্রি করতে পেরে লাভবান। তিনি মনে করেন, এ প্রক্রীয়া অব্যাহত থাকলে গমের আবাদ বৃদ্ধি পাবে।
গম ক্রয় কমিটির উপদেষ্টা, বোয়ালমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এম মোশাররফ হোসেন মুসা মিয়া জানান, বার বার নানা ফসলের আবাদ করে ক্ষতির মুখে পড়া কৃষদের রক্ষায় সরকারের ভর্তুকি দিয়ে গম ক্রয় করার সিদ্ধান্ত নি:সন্দেহে প্রশংসনীয়। তিনি জানান, কৃষক রক্ষায় এ প্রক্রীয়া অব্যাহত রাখতে হবে।
বোয়ালমারী উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল হোসেন জানান, নিয়মতান্ত্রিকভাবেই সরাসরি কৃষক পর্যায় থেকে গম সংগ্রহ করা হচ্ছে এবং ব্যাংকের মাধ্যমে বিল পরিশোধ করা হচ্ছে। তিনি জানান, ব্যাংকের মাধ্যমে বিল পরিশোধ করায় সবাই সঠিকভাবে তার প্রাপ্য বুঝে নিতে পারছেন।
ফরিদপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. আব্দুর রহমান জানান, ১৮ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া ক্রয় র্ক্যাক্রম চলবে আগামী ৩ শে জুন পর্যন্ত। তিনি বলেন, সকল উপজেলায় সুষ্ঠভাবে ক্রয় কার্যক্রম চলছে। এক্ষেত্রে কোন ধরনের অনিয়মের অভিযোগ উঠলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।