নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানে ত্রুটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এ ঘটনায় কোনো ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা ছিল নাকি অবহেলা রয়েছে তাও নিশ্চিত নয় । এ বিষয়ে দায়ীদের আইনের আওতায় এনে অধিকতর তদন্তের সুপারিশ করেছেন তদন্ত কমিটি।
দুপুরে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর বিমানে কারিগুরি ত্রুটি তদন্তে বিমান মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমার পর এই সংবাদ সম্মেলন করেন মেনন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানে কারিগরি ত্রুটি কোনো ধরনের নাশকতার চেষ্টা ছিল কি না, তা এখনও নিশ্চিত হয়নি। তবে এই ত্রুটি মনুষ্যসৃষ্ট ছিল। এটা অন্য দুটি তদন্তের মতো বিমান মন্ত্রণালয়ের তদন্তেও প্রমাণ হয়েছে। এখন সংশ্লিষ্টদেরকে আইনের আওতায় এনে জানার চেষ্টা হবে এটা নাশকতা কিনা।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ও বিমানের তদন্ত কমিটি এর আগেই প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তবে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব স্বপন কুমার সরকারের নেতৃত্বে কমিটি দুপুরে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন জমা দেয়।
মেনন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বিমানে ত্রুটি যে মনুষ্যসৃষ্ট ছিল-এটা তিনটি তদন্তেই প্রমাণ হয়েছে। এটা নাশকতামূলক নাকি অবহেলার কারণে হয়েছে, সেটা সংশ্লিষ্টদেরকে আইনের আওতায় এনে নিশ্চিত করা হবে। তিনটা রিপোর্ট সমন্বয় করে সারাংশ তৈরি করে দুই এক দিনের মধ্যে প্রধানমন্তও্রীর কাছে পাঠানো হবে। তার সিদ্ধান্তের আলোকেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
গত ২৭ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীকে হাঙ্গেরির পথে বহনকারী বিমান জরুরি অবতরণে বাধ্য হয়। পরে চার ঘণ্টা ত্রুটি সারিয়ে বিমানটি আবার যাত্রা শুরু করে।
৩ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ঘটনাটি নিছক দুর্ঘটনা বলেই মনে হচ্ছে তার কাছে। এতে অন্য কিছু নেই। অবশ্য ৮ ডিসেম্বর সংসদে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিমানের ত্রুটিকে যান্ত্রিক গোলযোগ মনে করেছিলেন তিনি। কিন্তু তদন্ত প্রতিবেদন দেখে তার মনে হয়েছে এটি মনুষ্যসৃষ্ট হত্যা চেষ্টা ছিল।