সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, “ইউপি নির্বাচনে সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করবে না। নির্বাচন যাতে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হয় পৌর নির্বাচনের মতো।”
তিনি বলেন, “ইউপি নির্বাচনের চ্যালেঞ্জটা কঠিন, কারণ এটা প্রথম অভিজ্ঞতা। কিন্তু তারপরও আমরা শুরুটাই ভালো করেছি। সরকারি দল কখনো চাইবে না যে নির্বাচনে খারাপ নজির বা দৃষ্টান্ত স্থাপিত হোক। পৌর নির্বাচনেও অনেকে সংঘাত, রক্তারক্তির আশঙ্কা করেছিল। কিন্তু বাস্তবে এসব হয়নি। তা ছাড়া নির্বাচনোত্তর সহিংসতাও সেভাবে দেখা দেয়নি।”
শনিবার দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যানজট পরিদর্শন করতে নারায়ণগঞ্জে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে অংশ নিয়ে প্রত্যেক দলের নিজেদের অবস্থান যাচাই করা উচিত ।
একটা ভালো নির্বাচন করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা ভালোর জন্য আশা করছি, মন্দের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
এ সময় ওবায়দুল কাদের জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ২২৫ কিলোমিটার দীর্ঘ উড়াল সড়ক নির্মাণ করার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। আর এজন্য ব্যয় হতে পারে প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকা।
এই মহাসড়কের যানজট প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, মেঘনা সেতুর মেরামতকাজ, রাস্তায় ফিটনেসবিহীন যানবাহন বিকল হয়ে যাওয়ার কারণে শুক্রবার যানজট তীব্র আকার ধারণ করে। এই যানজট কিছুটা কমাতে তিনি সরকারি ছুটির দিনগুলোতে সড়ক ও সেতুর মেরামত কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।
জাইকার সহায়তায় মেঘনা, মেঘনা-গোমতি ও কাঁচপুরে নতুন সেতুর নির্মাণসামগ্রী আসতে শুরু করেছে বলে জানান ওবায়দুল কাদের। আগামী মাসেই এসব সেতুর কাজ শুরু হবে বলে জানান তিনি। এ ছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চার লেনের কাজ শেষ হলেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সড়কের উদ্বোধন করবেন বলে জানান মন্ত্রী।