পবিত্র শবেবরাতে ইতালীয় প্রশাসন অনুমোদিত তরপিনাত্তারা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ উদ্বোধন

। জাকির হোসেন সুমন ,  ইতালী : পবিত্র শবেবরাতকে আমরা অনেকেই ভাগ্য বা সৌভাগ্য রজনী বলে থাকি। দিনটি ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্য মহিমান্বিত ভাগ্যরজনী। তবে শবেবরাতকে আরবিতে বলা হয় লাইলাতুল বারায়াত মুক্তি, নিষ্কৃতির রজনী।  আরে এমনি এক সময়ে ইতালীর রোমের বাংলাদেশী অধ্যুষিত এলাকায় তরপিনাত্তারায় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ নামে নতুন একটি মসজিদে নামাজ আদায় করেছে।
ইতালীয় প্রশাসন কর্তক অনুমোদিত বাংলাদেশী তত্বাবধানে ইতালী সব চেয়ে বড় এই মসজিদটি ১০০০ স্কোয়ার মিটার আয়তনে একসাথে প্রায় ৩০০ মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবে।  এখানে মহিলাদের আলাদা জায়গায় নামাজ আদায় করার সুব্যবস্থা থাকবে। তবে তরপিনাত্তারা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদটি এখনো সম্পূর্ণ রুপে সম্পন্ন হয়নি। এখনো নীচের শেষ অংশের কাজ চলছে এবং উপরে কাজ শুরু করেছে। মসজিদ কর্তপক্ষ জানান, সম্পূর্ন কেনা এই মসজিদের কাজ শেষ হলে পরবর্তিতে এখানে হাফেজ-ই মাদ্রাসা তৈরি করা হবে।
প্রচুর সংখ্যক ধর্মপ্রাণ মুসলমান মসজিদের প্রথম দিন নামাজ আদায় করেন এবং আল্লাহর ঘর নির্মানে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। এবং অনেকেই ওয়াদা করেন পরবর্তিতে মুসল্লিদের আল্লাহ দরবারে সিজদা দেয়া জায়গা করে দেয়ার জন্য তারা সব সময়ই পাশে থাকবে। ধারণা করা হচ্ছে মসজিদের সমস্ত কাজ সম্পন্ন হতে সব মিলিয়ে প্রায় ২০ লক্ষ ইউরোর উপরে প্রয়োজন হতে পারে। মসজিদ উদ্বোধনীতে কমিটির নেতৃবৃন্দ সহ কমুনের কতৃপক্ষ এবং জায়গার বিক্রয়দাতা উপস্থিত ছিলেন। তারা সকলেই পূর্নাঙ্গ এই মসজিদ নির্মানে সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
তরপিনাত্তারা কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম রহুল আমিন বলেন  প্রতিকূল অবস্থাতে সকলের সহযোগিতায় নামাজ এই স্থানটুকু যেন মহান আল্লাহ তায়ালা মসজিদ হিসাবে কবুল করে নেন। পরবর্তিতে এ রাতের গুরুত্ব সম্পর্কে আলোকপাত করেন এবং মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
মসজিদে এশার নামাজের পর থেকেই রাতব্যাপী ইবাদত, বন্দেগি, ওয়াজ মাহফিল, জিকির ও মিলাদের পর বাদ ফজর দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মার জন্য আল্লাহর রহমত কামনায় মোনাজাতের মধ্য দিয়ে পবিত্র লাইলাতুল বরাতের সমাপ্তি হবে।