স্পোর্টস রিপোর্টার, ভারত (শিলিগুড়ি) থেকে
টানা চতুর্থবারের মতো সাফ মহিলা ফুটবল চ্যাম্পিয়নশীপের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে স্বাগতিক ভারত। আজ নেপালকে ৩-১ গোলে উড়িয়ে শিরোপা নির্ধারনী ম্যাচে জায়গা করে নেয় বালা দেবীর দল। একটি করে গোল করেছেন কমলা দেবী, ইন্দুমাথি ও সাস্মিতা মালিক। আগামি ৪ ডিসেম্বর চলতি এ আসরের ফাইনালের মহামঞ্চে ভারত লড়বে দ্বিতীয় সেমি ফাইনালের বিজয়ী দল বাংলাদেশ অথবা মালদ্বীপের বিপক্ষে।
আগের তিন আসরের ফাইনালিষ্ট ছিল নেপাল। প্রতিবারই তাদের প্রতিপক্ষ ছিল ভারত। কোন আসরের ফাইনালেই ভারতের বিরুদ্ধে জয় পায়নি তারা। গত আসরের ফাইনালে ৬-০ গোলে পরাস্ত হয়েছিল নেপাল। আজও ইতিহাস পাল্টাতে পারেনি তারা। পরাজয় নিয়েই সেমি ফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হলো তিন আসরের ফাইনালিষ্ট দলকে।
শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে দুপুর ২টায় শুরু হয় দুই দলের এ ফুটবল দ্বৈরথ। ম্যাচের শুরু থেকেই প্রতিপক্ষ দলকে দারুনভাবে চেপে ধরে স্বাগতিক শিবির। একের পর এক আক্রমনে কোনঠাঁসা করে ফেলেছিল। মাঝে কিছুটা সময় বিক্ষিপ্ত আক্রমন রচনা করেছিল নেপালও। কিন্তু তাদের কোন আক্রমন আলোর মুখতো দূরের কথা, ছোট বক্সের ভেতরেই বল নিয়ে যেতে পারেনি। প্রথমার্ধে বেশ কিছু আক্রমন রচনা করলেও ভারতকে গোলের জন্য অপেক্ষায় থাকতে হয় ম্যাচের ৪৪ মিনিট পর্যন্ত।
ভারত দলের অভিজ্ঞ ফরোয়ার্ড কমলা দেবীর পাওয়ার ফুল শটের কাছে হার মানতে হয় দলের ডিফেন্ডার আর গোলরক্ষককে। কাউন্টার অ্যাটাকে বল পেয়ে কমলা ডানদিক দিয়ে প্রবেশ করেন বক্সে। তার সাথে লেপ্টে ছিলেন ডিফেন্ডার গীতা রানা। কিন্তু ডিফেন্ডার অভিজ্ঞ এ ফরোয়ার্ডের সামনে দেয়াল তৈরি করতে ব্যর্থ হন। কোনাকুনী জোড়ালো শটে বল জালে প্রবেশ করান কমলা (১-০)। উৎসবে মেতে উঠেন গ্যালারীতে উপস্থিত হাজার দেড়েক দর্শক।
দ্বিতীয়ার্ধে বল মাঠে গড়ানোর ১৩ মিনিটের মধ্যে আবারো এগিয়ে যায় স্বাগতিক শিবির। স্কোরটাকে ডাবল করেন ইন্দুমাথি। নেপালের আগুয়ান গোলরক্ষক অঞ্জিলাকে বোকা বানিয়ে নিশানা ভেদ করেন মধ্য মাঠের এ ফুটবলার (২-০)।
অবশেষে ৭৫ মিনিটে পেনাল্টির মাধ্যমে গোল আদায় করে ব্যবধান কমিয়ে আনেন সাবিত্রা ভান্ডারি (২-১)। তার আগে ভারতের ডিফেন্ডার মনিষা পান্না নিজেদের বক্সে হাত দিয়ে বল স্পর্শ করলে রেফারি আনিসুর রহমান পেনাল্টির নির্দেশ দেন।
ম্যাচ শেষ হওয়ার ৬ মিনিট আগে আবারো এগিয়ে যায় ভারত। সাস্মিতা মালিকের কর্ণার ফিষ্ট করতে গিয়ে নিজেদের জালেই বল জড়িয়ে দেন নেপালের গোলরক্ষক অঞ্জিলা (৩-১)। শেষ দিকে আরো কয়েকটি সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে স্বাগতিক শিবিরের।