নিজের বাল্য বিয়ের বিরুদ্ধে রুখে দেয়া নিলিমা এ-গ্রেড পেয়েছে

বরিশাল প্রতিনিধিঃ
নিজের বাল্য বিয়ের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানো বরিশালের আগৈলঝাড়ার বারপাইকা গ্রামের নিলিমা ভবিষৎতে বিচারক হতে চায়। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এসএসসি পরীক্ষায় সে এ-গ্রেড পেয়ে আরেক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। নিজের বাল্য বিয়ে রুখে দিয়ে উপজেলাসহ সারা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন। উপজেলার রতœপুর ইউনিয়নের বারপাইকা গ্রামের নিপুল করের মেয়ে

নিলিমা করকে জোরপূর্বক বাল্য বিয়ে দেয়ার সময় সে রাজি হয়নি। রাজি না হওয়ায় সে সহ তার পরিবারের উপর হামলা করে মাথা ফাটিয়ে দেয় চাচা বিপুল কর ও রনি কর। নিলিমা কর সাংবাদিকদের জানান, তার পরিবারে পিতা-মাতাসহ ৫ বোন ও ১ ভাই রয়েছে। ভাই-বোনদের মধ্যে সে সবার বড়। ২০১৭ সালে উপজেলার বারপাইকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দেয়ার

সময়থেকে তার চাচা বিপুল কর ও রনি কর বিয়ের প্রস্তুতি নেয় একই উপজেলার মোল্লাপাড়া গ্রামের অমল সরকার (৩০)সাথে। সে বার বার বিয়ের প্রস্তুতি নিতে নিষেধ করলেও তারা তা শুনেনি। সেই কারনে ভাল ফলাফল করার কথা থাকলেও তা করতে পারেনি। বাল্যবিয়ে নিয়ে বর্তমান সরকার যখন কঠোর অবস্থান নিয়েছে তখন সারা দেশে বাল্য বিয়ের জন্য স্কুল ছাত্রীদের নির্যাতনের শিকার

হতে হচ্ছে। এসএসসি পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরে চাচারা বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে। বিয়েতে রাজি না হওয়ায় চাচা বিপুল কর ও রনি কর মাথা ফাটিয়ে আমাকে সহ মা অনিতা কর ও বোন ঈশিতাকে হাসপাতালে পাঠায়। আমি নিজের ইচ্ছায় বাল্য বিয়ে রুখে দিয়েছি। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এসএসসি পরীক্ষায় সে এ-গ্রেড পেয়েছি। আমি ভবিষৎতে একজন বিচারক হয়ে নির্যাতিত নারীদেরসহ দেশের সেবা করতে চাই।