একাত্তরলাইভ ডেস্ক : ঢাকা বোট ক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে চিত্রনায়িকা পরীমণিকে হত্যাচেষ্টা ও ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি নাসির উদ্দিন মাহমুদকে।
সোমবার (১৪ জুন) বোট ক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ঢাকা বোট ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ও পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
বোট ক্লাবের সচিব লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোহাম্মদ আহসান আমিন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পরীমণির অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করতে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। কমিটি আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবে। নাসির নিয়ম না মেনে বাইরের অতিথিকে ক্লাবের ভেতর নিয়ে এসেছিলেন।
নাসির ছাড়াও তুহিন সিদ্দিকী অমি ও শাহ এস আলমের সদস্য পদ স্থগিত রাখা হয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
রোববার (১৩ জুন) রাত ৮টায় ফেসবুকে নাম প্রকাশ না করে এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ করেন। এসময় তিনি নিরুপায় হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহায্য প্রার্থনা করেন। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি আলোড়ন সৃষ্টি করে। ওই রাতেই পরীমণি নিজের বনানীর বাসায় সংবাদ সম্মেলন করে ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা করেন গণমাধ্যমের সামনে।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে পরী বলেন, “গেল বুধবার (৯ জুন) রাতে পারিবারিক বন্ধু অমি ও পরীর পোশাক ডিজাইনার জিমির সঙ্গে বাইরে বের হয়েছিলেন। রাত ১২টার দিকে অমি তাদের নিয়ে ঢাকা বোট ক্লাবে যান। সেখানে মদ্যপানরত কয়েকজন ব্যক্তির সঙ্গে পরীর পরিচয় করিয়ে দেন অমি। পরে অমি সেখানে থাকা নাছির উদ্দিন মাহমুদ নামে এক ব্যক্তির কাছে নিয়ে যায়। সে সময় নাছির উদ্দিন মাহমুদ নিজেকে ঢাকা বোট ক্লাবের সভাপতি হিসেবে পরিচয় দেন। সেখানে তিনি আমাকে মদ খেতে অফার করেন। আমি রাজি না হলে আমাকে জোর করে মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে আমাকে চড় থাপ্পড় মারেন। তারপর নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টা করেন।”
ঘটনার পরপরই বনানী থানায় অভিযোগ করতে গিয়েছিলেন পরীমণি। সে সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা তার অভিযোগ রেকর্ড করেননি বলে অভিযোগ করেন তিনি। এ সময় পুলিশের সাহায্যে পরীমণি হাসপাতাল পর্যন্ত গিয়েও আতঙ্কবশত চিকিৎসা না নিয়েই বাড়ি ফিরে যান বলে জানান।