একাত্তর লাইভ ডেস্ক:
প্রতিদিনের মতো অফিস শেষে রাজধানীর নিকেতন এলাকা থেকে বেইলী রোডের বাসায় ফিরছিলেন ব্র্যাক ব্যাংকের এসোসিয়েট ম্যানেজার সানিন হাসিম (৩০)। বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে নিকেতনের অনিক টাওয়ারের সামনে থেকে রিকশায় উঠেছিলেন তিনি। হাতে ছিলো একটি ব্যাগ। সেই ব্যাগই কাল হলো ব্যাংক কর্মকর্তা সানিনের। রিকশায় কিছুদূর যেতেই মোটর সাইকেলে আসা টানা পার্টির সদস্যদের লোলুপ দৃষ্টি পড়ে ব্যাগটির উপর। একপর্যায়ে চলন্ত রিকশায় ব্যাগটি টান দেয় তাদের একজন। কিন্তু ব্যাগটির ফিতা সানিনের হাতের সঙ্গে প্যাঁচানো থাকায় হ্যাঁচকা টানে রিকশা থেকে নীচে পড়ে যান তিনি। এভাবে টেনে হিঁচড়ে ১০ গজের মতো তাকে নিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা। কিন্তু হাত থেকে ব্যাগটি ছিনিয়ে নিতে না পারলেও দুর্বৃত্তরা কেড়ে নেয় সানিনের প্রাণ।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে তেজগাঁওয়ের শমরিতা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
অশ্রুশিক্ত সানিনের বন্ধু সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার খালিফুল ইসলাম প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে সাংবাদিকদের বলেন, ছিনতাইকারীদের হামলার পর মাটিতে পড়ে মাথায় প্রচণ্ড আঘাত পান সানিন। এরপর তার আর জ্ঞান ফেরেনি। ছিনতাইকারীরা ঘটনাস্থল ছাড়ার পর পথচারী অনেকের কাছে সানিনকে উদ্ধারে সাহায্য চেয়েছিলেন রিকশা চালক। কিন্তু সাড়া দেয়নি কেউই। একপর্যায়ে চালক নিজেই অচেতন সানিকে শমরিতা হাসপাতালে এনে ভর্তি করান। খবর দেন স্বজনদের।
খালিফুল ইসলাম আরও বলেন, ‘রাতে চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, সানিনের জীবন সঙ্কটাপন্ন। কোমা থেকে বেরিয়ে আসা পর্যন্ত তারা ভালো-মন্দ কিছুই বলতে পারছিলেন না। অবশেষে তাদের সে আশঙ্কাই সত্য হলো। শত চেষ্টার পরও গতকাল সন্ধ্যায় না ফেরার দেশে চলে যায় বন্ধু আমার। এরপর মরদেহ ১-নং বেইলী রোডের বেইলী রীচ ভবনে সানিনের বাসায় নেয়া হয়।’
দুই ভাই এক বোনের মধ্যে সবার বড় ছিলেন সানিন।
গুলশান থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে আমি অবগত নই। অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।