ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহ জেলা পরিষদ নির্বাচনে এবার পরাজিত মেম্বর প্রার্থীরা ভোটারদের গাছের সাথে বেঁধে মারপিট করে টাকা আদায় করার অভিযোগ উঠেছে।
এমনকি নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ভোটারদের বিভিন্ন প্রকার হুমকি-ধামকির মাধ্যমে দেওয়া শাড়ি, লুঙ্গি ও উপহার সামগ্রী আদায় করছেন। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা ও কৌতুহলের সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ঝিনাইদহ জেলা পরিষদ নির্বাচনে মেম্বার প্রার্থী পলাশ, মিজান, জাহাঙ্গীর, ইবনে সিনা একই ওয়ার্ডে ভোট কেনার জন্য প্রতিযোগিতায় নামে।
তারা কুমড়াবাড়ীয়া ইউনিয়নে ভোটার কলিম উদ্দিন, আমজাদ. আনোয়ার, টোকন, মকলেচুর রহমান লাল্টু, ইকতার হোসেন ও নজরুল ইসলাম মেম্বারকে বিভিন্ন অংকেব টাকা দেয়।
চতুর ভোটাররা টাকা আদায়ের জন্য কলিম উদ্দিন মেম্বারের নেতৃত্বে গড়ে তোলেন সেভেন স্টার গ্রুপ। এই গ্রুপ প্রার্থীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেন।
নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর মেম্বার প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেন(তালা মার্কা) ক্ষিপ্ত হয়ে রবিবার কলিম উদ্দিন মেম্বারকে কুমড়াবাড়ীয়া বাজারে গাছের সাথে দড়ি দিয়ে বেঁধে টাকা আদায় করেন। বাকি পরাজিত প্রার্থীরা টাকা আদায়ের জন্য মেম্বারদের হন্য হয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছেন বলে জানা গেছে। ফলে ইউনিয়নে স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
কুমড়াবাড়ীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম আশরাফ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। এ ঘটনায় আমি প্রার্থী ও ভোটার উভয়ের শাস্তি দাবি করছি।
এছাড়াও ঝিনাইদহ সদরের সাগান্না ইউনিয়নের মোজাম্মেল হক মেম্বর পদে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি ভোটে জয়লাভ করার স্বার্থে বিভিন্ন মেম্বর ও চেয়ারম্যাদের বড় অংকের টাকা দিয়েছেন। কিন্তু লাখ লাখ টাকা খরচ করে মোজাম্মেল হক নির্বাচিত হতে পারেননি।
পরে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে বৈডাঙ্গা চাঁদপুরের মিন্টু মেম্বারকে দিয়ে বিভিন্ন মেম্বরদের হুমকি-ধামকি দিয়ে তার ভোট কেনা টাকা আদায়ের জোর প্রচেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছেন। শুধু এই দুটি ইউনিয়ন নয়, জেলার প্রতিটি ইউনিয়নে এমনি ঘটনা ঘটছে।