নিজস্ব প্রতিবদেক:
দেশের ৫৯ জেলায় বুধবার দেশের প্রথম জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট শুরু হয়েছে। চেয়ারম্যান ও সদস্যপদে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভোটগ্রহণ চলবে। ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, উপজেলা ও সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা এই নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন।
৬১টি জেলা পরিষদে ভোট হওয়ার কথা থাকলেও ফেনী ও ভোলায় এরই মধ্যে সব পদের প্রার্থীই ভোট ছাড়া বিজয় নিশ্চিত করে ফেলেছেন।
এদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনো দল এই নির্বাচনে কোনো প্রার্থীকে সমর্থন দেয়নি। তবে ৬১ জেলার মধ্যে চেয়ারম্যান পদে অন্তত ৩৩টিতে ক্ষমতাসীন দলের ৫৩ বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন। এসব প্রার্থীকে ঘিরেই নির্বাচনে নানা অঘটনের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ ছাড়া চেয়ারম্যান পদে বিএনপির দু’জন, গণফোরামের একজন, জাতীয় পার্টির (জেপি) তিনজন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) তিনজন, জাতীয় পার্টির (এরশাদ) একজন এবং দলীয় পরিচয় নেই এমন আটজন প্রার্থী হয়েছেন।
ইসি কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, দেশে প্রথমবারের মতো এ নির্বাচনের ভোটার সংখ্যা মাত্র ৬৩ হাজার ১৪৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৪৮ হাজার ৩৪৩ এবং নারী ভোটার ১৪ হাজার ৮০০ জন। একজন চেয়ারম্যান, পাঁচজন সংরক্ষিত সদস্য এবং ১৫ জন সাধারণ সদস্য নিয়ে জেলা পরিষদ গঠিত হবে। পার্বত্য তিন জেলা বাদে দেশের বাকি ৬১ জেলায় নতুন পরিষদ গঠন করবেন আজকের ভোটের নির্বাচিতরা। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ভোটার চট্টগ্রাম জেলায় দুই হাজার ৭০৬ এবং সর্বনিম্ন ভোটার মেহেরপুরে ২৬৯ জন।
এই নির্বাচনে মোট প্রার্থীর সংখ্যা তিন হাজার ৯৩৮ জন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ১৪৬, সংরক্ষিত সদস্য পদে ৮০৬ এবং সাধারণ সদস্য পদে দুই হাজার ৯৮৬ জন লড়াই করছেন। ৬১টি জেলা পরিষদের ২১টিতে এরই মধ্যে চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন। এ ছাড়াও সংরক্ষিত সদস্য ৬৯ এবং সাধারণ সদস্য ১৬৬ জন ভোটের আগেই বিজয় নিশ্চিত করেছেন। অন্যদিকে কুষ্টিয়া জেলার চেয়ারম্যান পদের নির্বাচন আদালতের আদেশে স্থগিত করা হয়েছে।
এ নির্বাচনে মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৯১৫টি। প্রতিটি কেন্দ্রের জন্য একটি মোবাইল টিম এবং র্যাবের একটি মোবাইল টিম কাজ করবে। এ ছাড়াও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় ৬১ জেলায় মোট ৯১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে।