কে. এম. রুবেল, ফরিদপুর:
ডনর্বাচনের বাকি আর মাত্র কয়েক দিন। শেষ মুহুর্তে প্রার্থীরা ভোটারদেও দ্বারে দ্বারে ভোট চেয়ে সময় পার করছেন জেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থীরা। কোন কোন প্রার্থী প্রচার প্রচারণায় বাঁধা সৃষ্টি ও হুমকী ধামকীর অভিযোগ করছেন প্রতিপক্ষের প্রার্থীর বিরুদ্ধে। আর রিটার্ণিং কর্মকর্তা জানান, এসব ছোট ছোট অভিযোগের কোন ভিত্তি নেই।
ফরিদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে এরই মধ্যে চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত হয়েছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শিক্ষাবিদ লোকমান হোসেন। শুধু চেয়ারম্যানই নয় নির্বাচিত হয়েছেন দুইজন নারী সদস্য ও পাঁচজন সাধারণ সদস্য পদে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায়। এতে ১, ২ ও ৩ নং ইউনিটে নির্বাচন হচ্ছেনা। বাকি ১২টি ইউনিটে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে এসছে। ফলে ব্যস্ত সময় প৪ার করছেন প্রার্থীরা। সকাল থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত ভোট প্রার্থনা করছেন প্রার্থীরা।
ভোটাররা মনে করেন ২০২১ সালের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সুযোগ্য ব্যাক্তিদের নির্বাচিত হওয়া প্রয়োজন। তাদের মতে, ভোটের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ায় তাদের জবাবদিহিতা থাকবে।
এদিকে অনেক প্রার্থীর অভিযোগ রয়েছে, প্রতিপক্ষ প্রার্থীর কর্তৃক নানা ধরনের হামকী ধামকীর। সদস্য প্রার্থী সফিকুর রহমান মিলন বলেন, নির্বাচন এসেছে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছি। জনপ্রতিনিধিরাই আমাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমার প্রতিপক্ষ আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমার সাথে যেসকল জনপ্রতিনিধি আছে তাদেরকে হুমকি দিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আমরা সব সময় মানুষের পাশে ছিলাম। আগামিতেও থাকব। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হলে আমি জয়ের বিষয়ে শতভাগ আশাবাদী।
অপরদিকে জেলা প্রশাসক ও রিটার্ণিং অফিসার বেগম উম্মে সালমা তানজিয়া বলেন, দু’একটি বিচ্ছিন্ন অভিযোগ পেলেও তার সত্যতা মেলেনি বলে জােিয়ছেন জেলা প্রশাসক ও রিটার্ণিং কর্মকর্তা বেগম উম্মে সালমা তানজিয়া।
নির্বাচনে ৯৬৫ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে নির্বাচিত করবেন জেলা পরিষদের সদস্যদের। যারা আগামীর বাংলাদেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিবেন – এমন প্রত্যাশা ভোটারদের।