চার জেলায় বন্দুকযুদ্ধে নিহত ৪

অনলাইন ডেস্ক : রাজধানীর মোহাম্মদপুর, চট্টগ্রামের বাঁশখালী, মেহেরপুরের গাংনী‌ ও কক্সবাজারের টেকনাফে বন্দুকযুদ্ধে চারজন নিহত হয়েছে। এ সময় মাদকদ্রব্য, দেশীয় অস্ত্রসহ ডাকাতির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।

মোহাম্মদপুরে র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নবী হোসেন (৪৭) নামে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার ভোরে মোহাম্মদপুর থানার ঢাকা উদ্যান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। র‌্যাব ২-এর কোম্পানি কমান্ডার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকী জানান, ঢাকা উদ্যান এলাকায় তল্লাশির সময় র‌্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে মাদক ব্যবসায়ীরা গুলি করে। আত্মরক্ষার্থে র‌্যাবও পাল্টা গুলি ছুঁড়লে মাদক ব্যবসায়ী নবী গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

বাঁশখালী উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়নের চেমটখালী এলাকায় র‌্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে দেলোয়ার হোসেন (৩৫) নামে এক ডাকাত নিহত হয়েছে। দেলোয়ার ইউনিয়নের খুদুকখালী এলাকার নুরুল আলমের পুত্র। আজ ভোর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে র‌্যাব। এ সময় র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ওই ডাকাত গুলি বর্ষণ করলে র‌্যাবও পাল্টা গুলি বিনিময় করে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় সে। বাঁশখালী থানার এসআই আতিকুল ইসলাম জানান, নিহত ডাকাতের বিরুদ্ধে বাঁশখালী থানায় হত্যা, ডাকাতিসহ অসংখ্য মামলা রয়েছে।

গাংনীতে দুপক্ষের গোলাগু‌লি‌তে ফজলুল হক ফজু (৪৫) নামে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হ‌য়ে‌ছেন। আজ ভোরে উপ‌জেলার হাড়াভাঙ্গা গ্রা‌মে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থে‌কে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার ক‌রে‌ছে। ‌নিহত মাদক ব্যবসায়ী ফজলুল হক ফজু কা‌জিপুর খন্দকার পাড়ার সামছুল হকের ছেলে। পীরতলা পু‌লিশ ক্যা‌ম্প ইনচার্জ এসআই অজয় কুমার জানান, হাড়াভাঙ্গা তিনজোল মাঠে গোলাগু‌লির খবর পে‌য়ে পু‌লি‌শের ক‌য়েক‌টি দল ঘটনাস্থ‌লে যায়। পু‌লি‌শের উপস্থি‌তি টের পে‌য়ে দুস্কৃতিকারীরা পালি‌য়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে গু‌লিবিদ্ধ একজ‌নের লাশ ও এক‌টি এল‌জি সাটারগান এবং এক কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

টেকনাফে পুলিশের অবৈধ অস্ত্র ও মাদকবিরোধী অভিযানে এক মাদক কারবারী নিহত হয়েছে। এ সময় ৩ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে দেশীয় অস্ত্র, বুলেট ও ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান, আটক মাদক কারবারী ও অস্ত্র ব্যবসায়ী কাশেমের স্বীকারোক্তি মতে তাদের আস্তানায় অস্ত্র এবং মাদক উদ্ধার অভিযানে গেলে তার সহযোগিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। এতে ৩ জন পুলিশ আহত হয়। পুলিশও পাল্টা গুলিবর্ষণ করলে দুপক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল হতে এলজি, তাজা কার্তুজ, ইয়াবাসহ গুলিবিদ্ধ কাশেমকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হলে মারা যায়। মৃতদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।