বরিশাল প্রতিনিধিঃ বরিশালের গৌরনদীর মেদাকুল বিএমএস ইনস্টিটিউশনে (মাধ্যমিক বিদ্যালয়) প্রধান শিক্ষক নিয়োগে ম্যানেজিং কমিটির ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রিজিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক ও আবেদনকারী মোঃ শাহীন মিয়া লিখিত অভিযোগ করেন, মেদাকুল বিএমএস ইনস্টিটিউশনের ম্যানেজিং কমিটি প্রধান শিক্ষক শূন্য পদের জন্য নিয়োগের শুরু থেকে অসদউপায় অবম্বন করে আসছেন। তারই ধারাবাহিকতায় বহুল প্রচারিত পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি না দিয়ে ঢাকার একটি অক্ষত ও আঞ্চলিক পত্রিকায় গত ১১ এপ্রিল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন।
যাতে বেশী প্রার্থী আবেদন না করতে পারেন। পত্রিকায় কাটিং বিদ্যালয়ে ও উপজেলা মাধ্যমিক অফিসের নোর্টিশ বোর্ডে সাটানোর কথা থাকলেও তা সাটাননি। এমনকি ওই বিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষকই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির কথা জানেননা। তথ্য প্রযুক্তির যুগে তারা (শাহীন) আবেদনের শেষ তারিখের ২ দিন পূর্বে জানতে পেরে অনেক কষ্ঠে আবেদন পত্র জমা দেন।
ম্যানেজিং কমটির প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ প্রক্রিয়ার আগেই শিক্ষক নির্বাচন করে রাখেন। যার কারনে আবেদনকারী ১৯ জন প্রার্থীকে নিয়ম অনুযায়ী নিয়োগ কমিটি প্রার্থীদের আবেদনপত্র যাচাই বাচাই করবেন। নিয়মনিতি তোয়াক্কা না করে ম্যানেজিং কমিটি মোটা অংকের টাকার বিনিময় প্রার্থীদের আবেদনপত্র যাচাই বাচাই না করে অতি গোপনীয় ভাবে সাজানো তাদের (ম্যানেজিং কমিটি) মনভুত ৫ জন প্রার্থীকে পরীক্ষায় অংশ গ্রহনের জন্য প্রবেশপত্র (ইন্টাভিউ কার্ড) প্রদান করেন।
শাহীনসহ অন্যান্য আদেনকারীরারা বলেন, ‘মোটা অংকের টাকার বিনিময় প্রধান শিক্ষক ঠিক করে রাখেন।’ শিক্ষক নিয়োগের কোন ধারাবাহিকতা পালন না করে ম্যানেজিং কমিটি সম্পূর্ন অবৈধ ভাবে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া চালিয়েছেন। শনিবার অতি গোপনীয়তা ভাবে ম্যানেজিং কমিটি জেলা সদর গার্লস স্কুলে পরীক্ষা নেন।
উৎকোচের কথা অস্বীকার করে স্কুল পরিচালনা কমিটির র সভাপতি, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইচ চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা মিজানুর রহমান বলেন, ‘১৯ জন প্রার্থীর মধ্যে যাচাই বাচাইতে ১২ জন প্রাথীর আবেদন বৈধ হয়। ডিজি অফিস ৭ দিন পূর্বে পরীক্ষার তারিখ নির্ধারন করায় প্রার্থীদের ইন্টাভিউ কার্ড দেয়া হযনি। মুঠো ফোনে প্রার্থীদের অবহিত করা হয়েছে।’ মিজানুর রহমান এ দাবি করলেও প্রার্থীরা তা প্রত্যখান করে বরেন, শুধু সাজানো প্রার্থীদের ইণ্টারভিউ কার্ড প্রদানকরা হয়েছে।