একাত্তরলাইভ ডেস্ক : রাজধানীর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কার্যালয়ে পৌঁছেছেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। মঙ্গলবার (১৫ জুন) ৩.৫০ মিনিটে তিনি ডিবি কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন চিত্র পরিচালক চয়নিকা চৌধুরী।
এর আগে পরীমণির করা মামলার বিষয়ে কথা বলার জন্য তাকে ডিবি কার্যালয়ে ডাকা হয়। বিষয়টি পরীমণি নিজেই গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।
ডিবির একটি সূত্র জানিয়েছে, মামলার বাদী হিসেবে পরীমণিকে ডাকা হয়েছে। তার বক্তব্য শুনবে পুলিশ।
গোয়েন্দা পুলিশের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, মামলার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে কিছু তথ্য পাওয়া গেছে সেসব বিষয় নিয়েও পরীমণির সঙ্গে কথা বলা হবে।
এর আগে পরীমণি ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সাভার থানায় একটি মামলা করেন। সেই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় মূল অভিযুক্ত নাসির উদ্দিন মাহমুদ, তুহিন সিদ্দিকী অমিসহ পাঁচজনকে।
রোববার (১৩ জুন) রাত ৮টায় ফেসবুকে নাম প্রকাশ না করে এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ করেন। এসময় তিনি নিরুপায় হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহায্য প্রার্থনা করেন। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি আলোড়ন সৃষ্টি করে। ওই রাতেই পরীমনি নিজের বনানীর বাসায় সংবাদ সম্মেলন করে ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা করেন গণমাধ্যমের সামনে।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে পরী বলেন, “গেল বুধবার (৯ জুন) রাতে পারিবারিক বন্ধু অমি ও পরীর পোশাক ডিজাইনার জিমির সঙ্গে বাইরে বের হয়েছিলেন। রাত ১২টার দিকে অমি তাদের নিয়ে ঢাকা বোট ক্লাবে যান। সেখানে মদ্যপানরত কয়েকজন ব্যক্তির সঙ্গে পরীর পরিচয় করিয়ে দেন অমি। পরে অমি সেখানে থাকা নাছির উদ্দিন মাহমুদ নামে এক ব্যক্তির কাছে নিয়ে যায়। সে সময় নাছির উদ্দিন মাহমুদ নিজেকে ঢাকা বোট ক্লাবের সভাপতি হিসেবে পরিচয় দেন। সেখানে তিনি আমাকে মদ খেতে অফার করেন। আমি রাজি না হলে আমাকে জোর করে মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে আমাকে চড় থাপ্পড় মারেন। তারপর নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টা করেন।”