এম.এস রুকন, গাজীপুর থেকে:
গাজীপুরের মাওনা চৌরাস্তা থেকে জয়দেবপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত ৩০ কি.মি ফোরলেন মহাসড়কে বেপরোয়াভাবে সিএনজি, বডবডি নসিমন, করিমন এবং অটোনিক্সা চলাচল দেখা যায়। শুক্রবার সরেজমিনে মহাসড়ক ঘুরে জানা যায়, হাইওয়ে পুলিশের ছত্রছায়ায় সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ মেয়াদ উত্তীর্ণ লক্কর-ঝক্কর অবৈধ যানবাহণের রোড পারমিট দেয়া হয়।ময়মনসিংহ, ভালুকা থেকে ছেড়ে আসা সিএনজি চালক, মোঃ রফিকুল ইসলাম (৪২) এ প্রতিবেদককে জানান, বস হুনুইন যে, গাজীপুইরা হাইওয়ে পুলিশেরা খারা ডাহাইত। ১২০ টেহা দিলে এডা টোহেন দিয়া দেয়, সারা দিন সিএনজি চালাই, কোন সমস্যা অয় না। আর যদি টেহা না দেই তাইলেই কিয়ামত। টোকেন দিয়ে হাইওয়ে পুলিশের চাঁদাবাজি এবং অবৈধ যানবাহণ চলাচলের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গাজীপুর জেলা হাইওয়ে পুলিশের এক কর্মকতা জানান, টোকেন দিয়ে পুলিশ কোন চাঁদাবাজি করে না। তবে দুই-একজন সার্জন আছে, যারা অসৎ পথ অবলম্ভন করে। উপযুক্ত প্রমাণ পেলে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মাওনা হাইওয়ে থানার আওতাধীন মহাসড়কে নিয়মিত সিএনজি চালায় মোঃ হযরত আলী (৩২) এ প্রতিবেদককে জানান, বড় ভাই, টেকা দিলে বাঘের চোখ মেলে। মাওনা হাইওয়ে পুলিশ খুব খারাপ, তিনি বলেন, মহাসড়কে সিএনজি চলাচল সরকার যতই নিষিদ্ধ দেক, কাম অইব না। পুলিশ সারেরা আরেক সরকার, দিন ১০০ টেকা কইরা মাশুরা দেই। সার্জেন সারেরা হালাল পারমিশন দেন। টেকা দিলে সব ঠিক, না দিলে গাড়ি ভাংচুর, জেল জরিমানা।এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা (ইডাফ) এর শ্রীপুর থানার সভাপতি ইঞ্জিঃ ফারুক হাসান, এ প্রতিবেদককে জানান, গাজীপুরসহ মাওনা হাইওয়ে থানা পুলিশের বিরুদ্ধে পত্র-পত্রিকায় টোকেন দিয়ে চাঁদাবাজি ও অবৈধ যানবাহণ চলাচলের রোড পারমিট দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, তারা যেন তদন্ত সাপেক্ষে অচিরেই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।