কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি:
গাজীপুরের কালীগঞ্জে পাওনা টাকা আদায় করতে না পেরে কাজলী বেগম (৩২) নামের এক গৃহবধূকে শারীরিক নির্যাতন করেছে মাদক ব্যবসায়ী মো. সালাউদ্দিন (৩৫)। এ অপমান সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন ওই গৃহবধূ।
এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন নিহতের স্বামী আল-আমিন মিয়া। গতকাল সোমবার সকালে নিজ ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
দুপুরে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে বিকেলে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
এ ব্যাপারে নিহতের বড় ভাই ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে ওইদিন দুপুরে কালীগঞ্জ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেন। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালীগঞ্জ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুর রহমান।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত গৃহবধূ কাজলীর স্বামীর বাড়ি উপজেলার কালীগঞ্জ পৌর এলাকার ভাদার্ত্তী গ্রামে। তিনি বাড়িতে বাঁশ-বেত শিল্পের কাজ করতেন। নির্যাতনকারী একই গ্রামের মৃত শাহজাহান আলীর ছেলে পেশায় একজন মাদক ও দাদন ব্যবসায়ী।
নিহতের স্বামী আল-আমিন কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, প্রতিদিনের মতো সোমবার ভোরে তিনি রিকশা চালাতে চলে যান। সকালে কাজলী বাড়ির কাজকর্ম সারেন। এর ফাঁকে একই এলাকার মাদক ব্যবসায়ী সালাউদ্দিন বাড়িতে এসে পাওনা টাকা দাবি করে।
কিন্তু কাজলী দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তার ওপর শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়। নির্যাতনের অপমান সইতে না পেরে ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।
স্থানীয়রা জানান, সকালে তার কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে ঘরে ডুকে দেখেন কাজলী ঝুলে আছেন। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ তা উদ্ধার করেন। পুলিশ ও স্থানীয়দের ধারণা সকালে কোন এক সময় তিনি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন।
কালীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলম চাঁদ জানান, ঘটনার কথা শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। মরদেহ উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্থান্তর করা হয়েছে। আপাতত অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। পরে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।