অনলাইনডেস্ক: ক্যাসপারস্কি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। শুনে নিশ্চই অবাক হয়েছেন? শুনতে অবাক লাগলেও নেপথ্যের কারণ অত্যন্ত ভয়াবহ। সাইবার নিরাপত্তার নামে বহুল জনপ্রিয় এই অ্যান্টিভাইরাস নিজেই ভাইরাস হিসেবে প্রমানিত।
যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, চীন ও যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের আরও অনেক দেশে ক্যাসপারস্কি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে ইতোমধ্যে।
“স্যার, আপনি ক্যাসপারস্কি ব্যবহার করছেন?
আপনাকে আমাদের সাথে যেতে হবে!”
এটি একটি খবরের শিরোনাম। শিরোনাম দেখে অবাক হলেও সত্য যে- এটিই ছিল ‘দ্যা রেজিস্টার’ এর গত জুন মাসে প্রকাশিত একটি রিপোর্টের শিরোনাম। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ অক্টোবর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল গভর্নমেন্টের কোনো কর্মকর্তার কম্পিউটারে ক্যাসপারস্কি অ্যান্টিভাইরাস পাওয়া গেলে সেজন্য জবাবদিহি করতে হবে তাকে।
শুরু থেকেই গুঞ্জন থাকলেও ২০১৭ তে এসে যা জানা যায় তা শুনে মাথায় হাত উঠবে সবার। জানা যায়- ক্যাসপারস্কি অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহারকারীর ফাইল পাচারের কাজে জড়িত। যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ সাধারণ নির্বাচনের সময় এই সত্য উন্মোচিত হলে ব্যবহারকারীরা মুখ ফিরিয়ে নিতে শুরু করে রাশিয়াভিত্তিক এই অ্যান্টিভাইরাস থেকে। ইন্টারনেটে সার্চ করলে এ সংক্রান্ত অনেক তথ্য পাঠক নিজেরাই পেয়ে যাবেন।
এভাবে দেশে দেশে অ্যান্টিভাইরাসের নামে ব্যবহারকারীর তথ্য হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে ক্যাসপারস্কি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলেও সচেতনতার অভাবে বাংলাদেশে এখনও অফিস-আদালতসহ নিজস্ব কম্পিউটারে অহরহ ব্যবহার করা হচ্ছে এই সফটওয়্যার।
ক্যাসপারস্কি ব্যবহারে ঘরোয়া ব্যবহারকারীদের তথ্য হুমকির মুখে থাকার পাশাপাশি সরকারি তথ্য বেহাত হওয়ারও প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। এতে উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাওয়ার পথে হঠাৎ যেমন বিশাল জনগোষ্ঠী থমকে যেতে পারে তেমনি হুমকির সম্মুখীন হতে পারে জাতীয় নিরাপত্তাও। তাই সাধারণ কম্পিউটার ব্যবহারকারী থেকে শুরু করে ক্ষুদ্র, মাঝারী কিংবা বৃহৎ প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের নিজেদের ও প্রাতিষ্ঠানিক তথ্যের নিরাপত্তার বিষয়টি ভেবে দেখার পাশাপাশি রাষ্ট্রীয়ভাবেও সরকারি দায়িত্বশীলদের নজরে আনা যেতে পারে।