কোভিশিল্ড ভ‌্যাকসিন নিলেও ইউরোপ সফরে অনুমতি নেই

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনা প্রতিরোধে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভ‌্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। তবে ভারতে উৎপাদিত করোনাভাইরাসের টিকা কোভিশিল্ড গ্রহণকারীদের ইউরোপ সফর নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা।

১ জুলাই থেকে ‘ডিজিটাল কোভিড সার্টিফিকেট’ চালু করার কথা জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। টিকা নেওয়ার প্রমাণপত্র দিলে যাওয়া যাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত সব দেশে। তবে যে চারটি টিকাকে এই তালিকায় রাখা হয়েছে তার মধ্যে কোভিশিল্ড নেই।

কোভিশিল্ড নিলেও ইউরোপ সফর নিয়ে জটিলতা তৈরি হওয়ায় অনেক ভারতীয় টুইটে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন লেখক তসলিমা নাসরিন।

সোমবার (২৮ জুন) এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি অ্যাস্ট্রাজেনেকা এবং কোভিশিল্ড একই ধরনের ভ‌্যাকসিন। কিন্তু ইউরোপ অ্যাস্ট্রাজেনেকার অন‌্য ভ‌্যাকসিনের অনুমোদন দিলেও ভারতের কোভিশিল্ডকে দেয়নি। যারা কোভিশিল্ডের টিকা নিয়েছে তাদেরকে ইউরোপ সফরে অনুমতি দেওয়া হয়নি। আমি ইউরোপের নাগরিক কিন্তু কোভিশিল্ড নিয়েছি। তাই আমার জন‌্য দরজা বন্ধ!’

সেরামের প্রধান নির্বাহী আদার পুনাওয়ালা

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার তৈরি কোভিশল্ড টিকা এখন দেশটিতে ব্যাপকহারে দেওয়া হচ্ছে। তবে ইউরোপে গ্রিন পাসের জন্য অনুমোদন পেতে আবেদন করা হয়েছে কিনা সে ব্যাপারে সেরামের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি। অবশ্য সেরামের প্রধান নির্বাহী আদার পুনাওয়ালা জানিয়েছেন, তার প্রতিষ্ঠানটি দ্রুতই বিষয়টির সুরাহা করার চেষ্টা করছে।

এক টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘ভারতের কোভিশিল্ড নিয়েছেন, এমন অনেক ভারতীয় ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো সফরের ক্ষেত্রে জটিলতার মুখে পড়েছেন। আমি সবাইকে নিশ্চিত করছি, বিষয়টি শীর্ষ পর্যায়ে জানিয়েছি। আশা করি, বিষয়টির সুরাহা হবে শিগগিরই।’

ভারতে ডেল্টা প্লাসসহ করোনার নতুন কিছু ধরন দেখা দেওয়ায় দেশটির ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ও নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা আরোপ করেছে অনেক দেশ। এই তালিকায় রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশ, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ড।

কানাডাও ভারতীয় ভ্রমণকারীদের আরোপিত নিষেধাজ্ঞার সময় বাড়িয়েছে ২১ জুলাই পর্যন্ত।