এম এস শফি: কুমিল্লা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। স্টেনোগ্রাফার পদে দায়িত্ব পালন করছেন মোঃ শহীদুল ইসলাম। তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ। পেনশনভোগী নিরিহ কর্মকর্তা-কর্মচারীর পাশাপাশি এই প্রতিষ্ঠানের অধীনে কর্মরত ঠিকাদাররাও তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ। দীর্ঘদিন ধরে এই পদে একই অফিসে দায়িত্ব পালন করায় তিনি অনেকটা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।কুমিল্লা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। এই অফিসে দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করছেন এই স্টেনোগ্রাফার শহীদুল ইসলাম। সরকারী বিধি মোতাবেক প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ অফিসে একজন হেড ক্লার্ক,একজন হিসাব রক্ষক,একজন ইস্যূ ক্লার্ক,একজন রিসিভড্ ক্লার্ক,একজন টাইপিস্ট কাম কম্পিউটার অপারেটরসহ একাধিক পিয়ন,করণিক থাকার কথা । কিন্তু কুমিল্লা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর অফিসে লুটপাটের ভাগবাটোয়ারা অল্প কয়েকজন আতœসাতের কারনে শুধু মাত্র একজন স্টেনোগ্রাফার দিয়েই পুরো অফিসের কাজ করাচেছ একটি সুবিধাভোগী সিন্ডিকেট। এতে প্রতি বছর পুরো জেলা জুড়ে সরকারী বরাদ্দের বিপূল অংকের টাকার কাজ না করে এই স্টেনোগ্রাফারের মাধ্যমে বিল-ভাউচার করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে সুবিধাভোগী চক্রটি। এছাড়া যে অভিযোগটি শহীদুলের বিরুদ্ধে উঠেছে সেটা হলো,এই অফিসের অধীন ৮ টি জেলার ৭৪টি উপজেলার বিভিন্ন সময়ে কর্মরত থাকা শেষে অবসরে যাওয়া কর্মচারীদের পেনশন,জিপিএফ,ভ্রমণ ভাতা ফান্ড ছাড়াও উন্নয়নমূলক কাজের তহবিল বরাদ্দ মঞ্জুরের নামে একজন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর নাম ভাঙ্গিয়ে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সুত্র জানায়,চাকুরী বিধি অনুযায়ী একজন সরকারী কর্মচারী কোন কার্যালয়ে ৩-৫ বছরের বেশী অবস্থানের নিয়ম না থাকলেও শহীদুলের ক্ষেত্রে সেটা মানা হচ্ছেনা। সুত্র মতে শহীদুল চাকুরীতে নিয়োগের পর থেকে আর কোথাও বদলী হননি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সে নিজেই অফিসটিতে একচ্ছত্র আধিপত্য বজায় রাখতে জনবল সংকট সৃষ্টি করে রাখছে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে। তার বিরুদ্ধে কেউ কোন অনিয়মের কথা বললে চাকুরী শেষে পেনশন আটকিয়ে রাখার অভিযোগও উঠেছে। এমনই একটি লিখিত অভিযোগ কয়েকজন সংবাদ কর্মীর হাতেও এসেছে। এঅবস্থায় দীর্ঘ দিন ধরে একই কর্মস্থলে থাকার রহস্য উদঘাটনে শহীদুল ইসলামের বিরুদ্ধে থাকা নানা অনিয়মের তদন্তও দাবী করছে ভূক্তভোগীরা।