স্বাস্থ্য ডেস্ক:
বুদ্ধি ও মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে আমরা কত কিছুই না করে থাকি। জেনে রাখা ভালো, আমাদের খাবার তালিকায় কিছুটা পরিবর্তন এনে বুদ্ধি বাড়াতে প্রয়োজনীয় উপাদানসমৃদ্ধ খাবার রাখলে তা মস্তিষ্ককে অনেকটা কর্মক্ষম করে তুলতে পারে। আসুন জেনে নিই বুদ্ধি বাড়াতে কিছু খাবারের গুণাগুণ।
১. ফলিক এসিডের ঘাটতি হলে বিষণœতা হতে পারে। এজন্য পরামর্শ হচ্ছে, প্রচুর পালংশাক এবং কমলার রস খান, যাতে রয়েছে ফলিক এসিড।
২. মস্তিষ্কের সুরক্ষার জন্য প্রয়োজন এন্টি-অ্যাক্সিডেন্ট, যা রয়েছে উদ্ভিজ্জ তৈল, বাদাম এবং সবুজ পাতার সবজিতে। এসব গ্রহণ করলে স্মৃতিশক্তি উন্নত থাকে। তাই বেশি বেশি এন্টি-অ্যাক্সিডেন্টযুক্ত খাবার খান।
৩. পরিফেনোল ‘কারকুমিন’-এর রয়েছে সুরক্ষা ক্ষমতা। হলুদে রয়েছে এ ‘কারকুমিন’। উপমহাদেশে হলুদ প্রচুর ব্যবহৃত হয় রন্ধনে। এজন্যই মস্তিষ্কের রোগ আলঝাইমার তত দেখা যায় না।
৪. ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিডে (তৈলাক্ত মাছ, বাদাম, অলিভ অয়েল ইত্যাদি) রয়েছে শেখার ক্ষমতা ও স্মৃতিশক্তির উন্নতি, বিষণœতা ও অন্যান্য মানসিক রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা। যেসব দেশে মানুষ প্রচুর মাছ খান, তাদের মধ্যে ক্লিনিক্যাল ডিপ্রেশন কম। এজন্যই এত দুঃখের মধ্যেও মাছে-ভাতে বাঙালি পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ।
৫. যেসব খাবারের ট্রান্স ফ্যাট ও স্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি, যেমন, ফাস্টফুড, ভাজা খাবার, মাখন, কেক, পেস্ট্রি এসব বেশি খেলে বুদ্ধিবৃত্তির ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে, তাই এসব খাবার এড়িয়ে চলুন।
কলা : এতে থাকে প্রচুর ম্যাগনেশিয়াম ও ভিটামিন বি-২। এটি নার্ভ ইমপালস ট্রান্সমিশনে খুব সাহায্য করে। এছাড়া নিউরোট্রান্সমিটার এঅইঅ তৈরিতে সাহায্য করে, যা ব্রেন ঠান্ড রাখে।
কলিজা : মস্তিষ্কের জন্য ২০ শতাংশ অক্সিজেন দরকার হয়। এ অক্সিজেন হিমোগ্লোবিনের সঙ্গে আটকে রক্তের মাধ্যমে মস্তিষ্কে যায়। আর এ হিমোগ্লোবিনের জন্য দরকার হয় আয়রন, যা কলিজায় প্রচুর থাকে। তাই গরু ও খাসির কলিজা খান।
সামুদ্রিক খাবার : এতে ভিটামিন, প্রোটিন লাইসিন, ম্যাংগানিজ, কপার, লিথিয়াম, জিঙ্ক ও আয়োডিন থাকে, যা আমাদের মস্তিষ্কের জন্য ভালো। ছোটবেলায় আয়োডিনের অভাবের কারণে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী হয়ে থাকে অনেকে।