কক্সবাজার প্রতিনিধি : ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনে নৌকা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন ড. আনসারুল করিম। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন তিনি। কিন্তু নৌকার মনোনয়ন না পেয়ে দল ছেড়েছেন। যোগ দিয়েছেন গণফ্রন্টে। গণফ্রন্ট থেকেই লড়ছেন এবারের নির্বাচনে।
মনোনয়ন না পেয়ে দল ছাড়া নিয়ে জেলাজুড়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা গুঞ্জন উঠে। অবশেষে তিনিই শোনালেন আওয়ামী লীগ ছাড়ার কারণ। ড. আনসারুল করিম বলেন, গত ৫ বছরে বর্তমান দলীয় সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিকের হাতে দলীয় অনেক নেতাকর্মী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
তাদেরকে সবকিছু থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। দলের উপর মহলে গুরুত্ব থাকলেও স্থানীয় রাজনীতিতে আমাকে চরম কোণঠাসা করা হয়েছে। অনেক আগেই দলের সদস্য পদ থেকেও বাদ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় রাজনীতির নোংরামীর শিকার হয়ে আওয়ামী লীগ ছাড়তে বাধ্য হয়েছি।
মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে চারটায় কক্সবাজার প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনে গণফ্রন্টের প্রার্থী ড. আনসারুল করিম এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি বলেণ,বর্তমান সংসদ ও আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন নেওয়া প্রার্থী ৯১ এবং ৯৬ এর নির্বাচনে সরাসরি বিএনপির প্রার্থীর পক্ষে ছিল এবং প্রকাশ্য মিছিল মিটিং করেছে। এসময় তার ছেলে ব্যারিস্টার আদনান করিম উপস্থিত ছিলেন।
ড. আনসারুল করিম বলেন, বঞ্চিত নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমি গণফ্রন্টের প্রার্থী হয়েছি। তবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে বিন্দু পরিমাণ বিচ্যুত হবো না।
আওয়ামী লীগের অনেক র্কর্মী-সমর্থক এবং সাধারণ মানুষ আমার পক্ষে আছে। তাই জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী। বিজয়ী হলে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে দ্বীপবাসীর উন্নয়নে অবদান রাখবো।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সাংসদ ও আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মনোনীত প্রার্থী আশেক উল্লাহ রফিক কখনোই নৌকার পক্ষে ছিলেন না।
২০১৪ সালের পূর্বে সবকটি নির্বাচনে বিএনপির পক্ষে ছিলেন। তাই জনগণ ভোটের ব্যালটে এসব বিচার করবেন।