কক্সবাজারে সাড়ে ৭ কোটি টাকায় শহরে নির্মিত হচ্ছে বিকল্প সড়ক

মাহাবুবুর রহমান
যানজট কমাতে শহরের কস্তুরাঘাট থেকে উত্তর রুমালিয়াছড়ার ব্রীক ফিল্ড রোড় পর্যন্ত নির্মিত হচ্ছে বিকল্প সড়ক। ৭ কোটি ৫৬ লক্ষ ৪৪ হাজার টাকা ব্যয়ে বাঁকখালী নদীর কূল ঘেষে নির্মিত হবে সড়কটি।চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে শুরু হবে ৩.৩১২ কিলোমিটার সড়কটির নির্মাণ কাজ।
কক্সবাজার পৌরসভা সূত্র জানায়, ইইজিআইআইপি -৩ প্রকল্পের আওতায় বাঁকখালীর বেড়িবাধের উপর সড়কটি নির্মাণ করা হবে। ৫ মিটার প্রস্থের সড়কটির একদিকে ৮৩৬ মিটার ও অন্যদিকে ২৪৭৮ মিটার নির্মিত হবে। এরমধ্যে ৮৩৬ মিটার নির্মিত হবে উত্তর রুমালিয়াছড়ার ব্রীক ফিল্ড রোড়ের দীন কুঞ্জ হাউজের ( দৈনিক কক্সবাজার ভবনের দক্ষিণে ) সামনে থেকে শুরু হয়ে খুরুশ্কুল ব্রীজ পর্যন্ত। ওই আরসিসি সড়কটি কুঞ্জ ভবন থেকে বায়তুর রিদুয়ান মসজিদের সামনে দিয়ে বাঁকখালী নদীর পাশ দিয়ে যাবে। ওই প্রকল্পের দৈনিক কক্সবাজার ভবনের সামনে ১১৫ মিটার নালা নির্মাণ করা হবে। এছাড়া বাকখালী নদীর ভাঙ্গন থেকে রাস্তাটি রক্ষা করতে খুরুশ্কুল ব্রীজের পূর্বপাশে আল্লাহওয়ালঅ হ্যাচারির বিপরীত পাশে ১৩৮ মিটার প্রোটেকটিভ ওয়াল নির্মিত হবে।  তাছাড়া মাঝিরঘাটস্থ সাবেক মেয়র সরওয়ারের বাসভবনের সামনে থেকে বাকখালি নদীর বেড়িবাধ হয়ে কস্তুরাঘাট এসে শেষ হবে। এ সড়কের সাথে পেষকার পাড়া হয়ে  টেকপাড়া জনতা সড়কের ব্রীজ পর্যন্ত আরসিসি ঢালাই দেওয়া হবে। পাশাপাশি পেষকার পাড়ার যেখানে বর্তমানে স্লুইচ গেইট রয়েছে সেখানে নির্মিত হবে টুইভেন্ট বক্স কালভার্ট। পেষকার পাড়া সংযোগ সড়কটির সাথে আরসিসি ঢালাইয়ের মাধ্যমে যুক্ত করা হবে পোনা মার্কেট হয়ে সিনেমা হল রোড় ।
সূত্রটি আরো জানায়, প্রকল্পটি পরিদর্শন করতে সম্প্রতি ইইজিআইআইপি-৩ একটি প্রতিনিধি দল কক্সবাজার আসবে। এরপর দরপত্র আহবান করা হবে। দরপত্র আহবান, টেন্ডার ওপেন, ওয়াক অর্ডার তৈরি সহ অন্যান্য আনুসাঙ্গিক কাজ শেষ করার পর রাস্তাটির নির্মাণ কাজ শুরু হবে।
এ বিষয়ে কক্সবাজার পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী সিরাজুল কালাম আজাদ জানান, বাঁকখালীর বেড়িবাধের উপর ৫ মিটার প্রস্থের ৩.৩১২ মিটার দৈর্ঘ্যরে আরসিসি সড়ক নির্মিত হবে। ওই সড়কের কাজ ফেব্রুয়ারিতে শুরু হবে।
কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী জানান, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে পৌরবাসীর দূর্ঘব লাঘব। যানজট নিয়ন্ত্রনে আসবে। এছাড়া রাস্তাটি শহর রক্ষাবাধের কাজও করবে। পাশাপাশি এটি হবে পর্যটকদের আকর্ষনের অন্যতম সড়ক।